আবার পিছিয়ে গেল ভবানীপুর উপনির্বাচন মামলার শুনানি। ভবানীপুরেই কেন শুধু উপনির্বাচন হচ্ছে? এই প্রশ্ন তুলে মামলা করা হয়েছিল। এমনকী এই মামলার দ্রুত শুনানি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন মামলাকারীর আইনজীবী। কিন্তু আদালত আজ জানিয়ে দেয় আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানি হবে।
ভবানীপুরের উপনির্বাচন হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। সেটা আটকাতে মুখ্যসচিবের চিঠিকে হাতিয়ার করে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন রাজ্যের মুখ্যসচিব কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রের জন্যই নির্বাচন চাইলেন? যদিও এই প্রশ্ন আদালত সওয়াল–জবাব প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই শুনতে চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথম এই মামলার শুনানি ছিল। সেখানে দ্রুত শুনানির আবেদন করা হয়েছিল। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়। কারণ এই মামলায় দ্রুত শুনানির প্রয়োজন আছে বলে আদালত মনে করে না। আজও একই আর্জি করা হয়েছিল। আজও আদালত নিজের অবস্থানেই অনড় থাকে। আর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে দেওয়া হয়।
খোদ মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর অনুরোধের পরই নাকি কমিশন ভবানীপুরে উপনির্বাচন ঘোষণা করেছিল। এই অভিযোগ তুলে ভবানীপুর উপনির্বাচন ঘোষণার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। জঙ্গিপুরের আরএসপি প্রার্থী এবং সামশেরগঞ্জে কংগ্রেস প্রার্থী মারা যায়। ভবানীপুরে জয়ী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, দিনহাটায় জয়ী নিশীথ প্রামাণিক এবং শান্তিপুরে জয়ী জগন্নাথ সরকার ইস্তফা দেন। আর গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর ও খড়দহে জয়ী প্রার্থী কাজল সিনহা মারা যাওয়ায় এই দুই কেন্দ্রেও নির্বাচন করাতে হবে।