ফের বাংলায় ফিরছে অতিমারির ভয়াবহ স্মৃতি। করোনা আক্রান্তের নিরিখে কলকাতা মহানগরী ক্রমেই সকলকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। আর তারই নিরিখে এবার যে সমস্ত এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হচ্ছে সেখানে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে নবান্ন থেকে সবুজ সংকেত মিললেই কলকাতার একাধিক এলাকায় মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হবে।
তবে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বেহালা, পাটুলি, উল্টোডাঙা, ভবানীপুর, যাদবপুর, গড়িয়া, পাইকপাড়া, মানিকতলা, বালিগঞ্জ, কসবা, নিউ-আলিপুর সহ একাধিক জায়গায় আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট বেশি। গোটা কলকাতাজুড়ে যত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন তার বেশিরভাগই এই সমস্ত এলাকার বাসিন্দা। সেকারণেই আর বিশেষ ঝুঁকি নিতে চাইছে না পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যে সচেতন করার জন্য প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। দেখা যাচ্ছে আক্রান্তদের মধ্যে ৮৭ শতাংশই উপসর্গহীন। আর আক্রান্তদের মধ্যে ৫৫ শতাংশের বয়স ২৬ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে।
আপাতত সপ্তাহ দুয়েকের জন্য় এই মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন শহরের কিছু এলাকায় চালু হতে পারে। এদিকে এবার তাৎপর্যপূর্ণভাবে দেখা যাচ্ছে আক্রান্তদের মধ্যে ৫১ শতাংশ আবাসন ও প্রায় ৪৭ শতাংশ নিজেদের বাড়িতে থাকেন। সেই বাড়ি ও আবাসন কেন্দ্রিক এলাকাগুলিতে কীভাবে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা যায় সেব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে নবান্ন।
করোনা আক্রান্তদের আলাদাভাবে থাকার জন্য সেফ হোম চালুর ব্যাপারেও কথাবার্তা চলছে। করোনা বিধি মানার ব্যাপারেও বার বার বলা হচ্ছে। পাশাপাশি বুস্টার ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও গতি আনার ব্যাপারেও বলা হয়েছে।