পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন চলাকালীনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের জন্য চলে এল সুখবর। এবার পঞ্চায়েত উন্নয়ন খাতে ১৬০০ কোটি টাকা পাঠাল মোদী সরকার। তাই অন্যান্য বকেয়া টাকা আটকে রাখলেও এই খাতের টাকা ছেড়ে দিল বলেই খবর। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক থেকে এই টাকা দেওয়া হয়েছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরকে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, পানীয় জল এবং নিকাশির কাজে এই টাকা ব্যবহার হবে বলে পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে খবর। সুতরাং রাজ্যে পঞ্চায়েতের কাজ আরও গতি পাবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
এদিকে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের পক্ষ থেকে ১৬০০ কোটি টাকা হাতে পেল রাজ্য সরকার। এক বছরের মধ্য়ে মোট টাকার ৬০ শতাংশ খরচ করতে পারলে বাকি বরাদ্দও দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজের টাকা–সহ একাধিক প্রকল্পের প্রাপ্য টাকা বকেয়া রেখে দিয়েছে কেন্দ্র। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার নয়াদিল্লিতে চিঠি লিখে দরবার করেছেন। কিন্তু তাও ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বাংলাকে বঞ্চিত করে রেখেছে মোদী সরকার বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, এই টাকা ছাড়া হবে বলে কয়েকদিন আগেই নয়াদিল্লি থেকে চিঠি পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়, দশ দিনের মধ্যে এই ১৬০০ কোটি টাকা পাঠানো হবে রাজ্যকে।
অন্যদিকে সেই চিঠি মতোই কাজ হয়েছে। এমনিতেই বহু টাকা বকেয়া রেখে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে এই পাঠানো টাকার অঙ্ক নগণ্য। তবু নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল বলে মনে করছে নবান্ন। নির্বাচনের ময়দানে পেরে না উঠে রাজ্যের বিজেপি নেতারা চিঠি লিখে প্রাপ্য টাকা আটকে রাখার সুপারিশ করেছেন কেন্দ্রের কাছে বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। তারপর এই টাকা পাঠানো বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। অনেকে বলছেন আসলে চন্দ্রযান–৩ চাঁদের মাটি স্পর্শ করেছে বলে খুশি হয়ে এই টাকা মোদী সরকার পাঠিয়েছে। এবার এই টাকা প্রাপ্তি নিয়ে প্রচারে নামতে চাইছে বঙ্গ–বিজেপির নেতারা বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: রাজ্যে খুলে গেল পাইকারি পোশাকের হাব, ‘সৃজন গ্লোবাল হাট’ দেখাচ্ছে কর্মসংস্থানের দিশাও
আর পঞ্চায়েতের উন্নয়ন খাতে রাজ্যকে টাকা পাঠিয়ে খানিকটা ফ্রন্টফুটে এল বিজেপি সরকার। গত ২২ অগস্ট প্রথমে ৬৫১ কোটি টাকা পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। তারপর আসে আরও ৯৯৬ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ১৬০০ কোটি পেল রাজ্য সরকার। একবছর পর তৃতীয় কিস্তির টাকাও পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে। আর এই বরাদ্দের ৬০ শতাংশ উন্নয়নমূলক কাজে খরচ করতে হবে বলে রাজ্যকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত ১৬ অগস্ট পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন হয়েছে। এই টাকা হাতে আসায় গ্রামীণ উন্নয়নে কাজ শুরু করতে সুবিধা হবে রাজ্য সরকারের। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে রাস্তার উন্নয়ন, নিকাশি, পানীয় জল–সহ গ্রামীণ উন্নয়নের কাজ করতে পারবে রাজ্য সরকার। নভেম্বর মাসের মধ্যে প্রাপ্য টাকার ৭৫ শতাংশ খরচ করলে বাকি আরও টাকা পাঠানো হবে।