পুজো এলে যেমন রাস্তাঘাটে মানুষের ভিড় বাড়ে তেমনি রাস্তার দু'পাশে ছেয়ে যায় ব্যানার, হোর্ডিংয়ে। তারজেরে পুজোর সময় দৃশ্য দূষণ একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এই অবস্থায় পুজোয় হোর্ডিং নিয়ে বড় নির্দেশ জারি করল কলকাতা পুরসভা। সে ক্ষেত্রে পুরসভার নির্দেশ মাটি থেকে ২০ ফুটের বেশি উঁচুতে হোর্ডিং বা ব্যানার লাগানো যাবে না। এছাড়াও বাসস্ট্যান্ড এবং ডিভাইডারে কাছে কোনওভাবেই লাগানো যাবে না। মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভার তরফে হোর্ডিং নিয়ে এই নিষেধ জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজো শুরু ৩,০০০ বছরের পুরনো পুরুলিয়ার রাজবাড়িতে রামের ধারা মেনে হয় পুজো
উৎসবের মরশুমে যত্রতত্র হোর্ডিং লাগানোর অভিযোগ নতুন নয়। প্রতিবছরে নাগরিকদের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ পেয়ে থাকে কলকাতা পুরসভা। এরফলে অনেকেই জানালা পর্যন্ত খুলতে পারেন না। যার ফলে ঠিকমতো আলো বাতাস ঢুকতে পারে না ঘরে। আবার হোর্ডিংয়ের কারণে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটতে থাকে। এই সমস্ত কারণে উঁচুতে হোর্ডিং লাগানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কলকাতা পুরসভা। বিজ্ঞাপন দফতরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার যাতে, পুজোয় যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে, সে কথায় মাথায় রেখে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। পুজো কমিটি গুলিকে এই নির্দেশিকা মানতে হবে।
ইতিমধ্যেই এই নির্দেশিকা শহরের দুর্গাপুজো কমিটিগুলির কাছে পাঠানো হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রত্যেকটি পুজো কমিটিকে তাদের লাগানো হোর্ডিং চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। বিশেষ করে কোন পুজো কমিটির হোর্ডিং কোথা থেকে লাগানো হচ্ছে এবং কোথায় শেষ হচ্ছে তা চিহ্নিত করে নাম লিখতে হবে বলে মেয়র পারিষদ জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, অনেক ক্ষেত্রে পুজো কমিটিগুলি হোর্ডিংয়ের দায়িত্ব নিতে চান না। সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আবার পুজো কমিটিগুলির অনেকের অভিযোগ কোনও বাণিজ্য সংস্থা নিজেদের প্রচার করার সময় পুজো কমিটির নামও ঠিকমতো দেয় না। অনেক ক্ষেত্রেই ছোট করে লেখা থাকে পুজো কমিটির নাম। এই নির্দেশ সেক্ষেত্রে কাজে লাগবে বলে তাঁরা মনে করছেন।
প্রসঙ্গত, বায়ুদূষণ, শব্দ দূষণের মতো শহরে অন্যতম দূষণ হল দৃশ্য দূষণ। যেখানে সেখানে হোর্ডিং, ব্যানারের ফলে দৃশ্য দূষণ অন্যতম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে শহরে। এই দূষণ নিয়ন্ত্রণে আগেই কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্যের পুর এবং নগরোন্নয়ন দফতর। এর পাশাপাশি শহরে যেখানে সেখানে বেআইনি হোর্ডিং টাঙানো যাবে না বলেও নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। সেক্ষেত্রে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।