লকডাউনের যখন গণপরিবহণে তালা পড়ে গিয়েছিল তখন অনেকেরই যাতায়াতের মাধ্যম ছিল সাইকেল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেই সাইকেলে যাতায়াতের প্রবণতা কমতে থাকে। এমনকী একাধিক রাস্তায় সাইকেলে যাতায়াত করলে পুলিশ জরিমানাও করে। সেই রাস্তাগুলি সাইকেলের জন্য় নো এন্ট্রি।
কলকাতার বহু রাস্তায় সাইকেলের জন্য আলাদা লেনও নেই। তবে পরিবেশবিদদের দাবি, কলকাতায় সাইকেলের সংখ্যা বাড়লে দুষণের পরিমাণ অনেকটাই কমবে। রবিবার বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ফের নতুন করে এই সাইকেলের প্রসঙ্গ উঠতে শুরু করেছে।
গত শুক্রবার ৩ জুন ছিল বিশ্ব সাইকেল দিবস। তার দুদিন পরে হল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। কিন্তু পরিবেশবিদদের দাবি কলকাতায় সাইকেল চালানোর প্রবণতা অনেকটাই কম। সেই পরিকাঠামোও গড়ে ওঠেনি। নিউ টাউনের কিছু রাস্তায় সাইকেলের জন্য় আলাদা লেন তৈরি হয়েছে। কিন্তু সেই লেনগুলি কার্যত ফুটপাত হিসাবে ব্যবহার করেন পথচারীরা।
কিন্তু কলকাতার সমস্ত রাস্তায় সাইকেলের যাতায়াতের জন্য় আলাদা করে কি লেন করা সম্ভব? এনিয়ে কী বলছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম? মেয়র বলেন, সাইকেলের লেন তৈরির বিষয়টি পর্যালোচনা করার জন্য আমি বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু কলকাতা যেহেতু অপরিকল্পিত শহর সেকারণে সাইকেল লেন করার মতো জায়গা নেই। তবে নিউটাউনে কিছু জায়গায় হয়েছে। তবে কলকাতার রাস্তাগুলো এতটাই সরু যে এর ওপর সাইকেল বে করলে তাতে যানজট আরও বেড়ে যাবে।