বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > পাতালপথে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন মহিলা, স্তব্ধ পরিষেবা স্বাভাবিক হচ্ছে
আজ, শুক্রবার সন্ধ্যেবেলায় হঠাৎ স্তব্ধ হয়ে পড়ে মেট্রো। অফিস থেকে তখন বাড়ির পথে ফিরছেন যাত্রীরা। তাহলে থমকে কেন পাতালপথে মেট্রোর চাকা? উঠল প্রশ্ন। জনবহুল প্ল্যাটফর্ম। আর তার মধ্যে থেকেই আবার মেট্রোয় আত্মহত্যার চেষ্টা। এবার আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক মহিলা। মহানায়ক উত্তমকুমার (টালিগঞ্জ) স্টেশনে হঠাৎই চলন্ত মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই মহিলা। এই ঘটনায় রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ভিড়ের মধ্যে থেকে এমন কাজ ঘটবে কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। ট্রেন ধরার জন্য সবাই এগিয়ে যান। আর তখন এই ঘটনাটি ঘটে।
এদিকে অফিস থেকে ফেরার সময় এমন দুর্ঘটনায় থমকে যায় মেট্রোর চাকা। তাতে বেশ বিপাকে পড়েন অফিস ফেরত যাত্রীরা। ওই মহিলাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মেট্রো কর্মী এবং আরপিএফের তৎপরতায় এই কাজ করা সম্ভব হয়েছে। তা না হলে মৃত্যু নিশ্চিত ছিল। যদিও এই ঘটনার জেরে কিছু সময়ের জন্য আপ লাইনের মেট্রো পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের পথে মেট্রো। এখন স্বাভাবিক হয়েছে মেট্রো চলাচল বলে খবর। তবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ একাধিক পদক্ষেপ নিলেও পাতালপথে আত্মহত্যা করার প্রবণতা কমছে না বলেই নিত্যযাত্রীদের মত।
আরও পড়ুন: ওয়াটগঞ্জ কাণ্ডের তদন্তে এবার লালবাজারের ফরেনসিক টিম, দুর্গা সরখেল খুনে নয়া মোড়
অন্যদিকে মেট্রো সূত্রে খবর, আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ১২ মিনিট নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটে। আত্মহত্যার করার জন্য ঝাঁপ দেওয়া ওই মহিলা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মেট্রোচালক ব্যাপারটি বুঝতে পেরেই সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন দাঁড় করিয়ে দেন। ৮ মিনিটের চেষ্টায় প্রাণ বাঁচানো যায় ওই মহিলার। মেট্রো রেলের পক্ষ থেকে ওই মহিলার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তাঁকে উদ্ধার করে এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের ফোন করা হয়। তবে প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয় ওই মহিলাকে। ওই মহিলার শরীরের সামান্য চোট ছিল।
কেন আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন? প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, দমদমগামী এক মেট্রোর সামনে হঠাৎই লাফ দেন ওই মহিলা। তবে মেট্রো চালকের তৎপরতায় তিনি বেঁচে যান। ট্রেনের সামনে লাইনের উপরই পড়েছিলেন ওই মহিলা। তখনই চালক ব্রেক কষে দেওয়ায় বেঁচে যান। তারপর ওই মহিলাকে উদ্ধার করে স্ট্রেচারে নিয়ে গিয়েছেন মেট্রো কর্মীরা। তখন ওই মহিলা হাসপাতালে পৌঁছে তাঁদের জানান, মন ভাল ছিল না। তাই এই জীবন শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে যে অভিজ্ঞতা হল তাতে আর এমন কাজ করবেন না তিনি। এই ঘটনার পর ওই যাত্রীদের মেট্রো থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। ওই লাইনের পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে ডাউন লাইনে পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল। এখন সব স্বাভাবিক হয়েছে।
বাংলার মুখ খবর