আদিবাসী মহিলাকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রার্থী করা হবে, সেটা জানতেন না। নাহলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কোনও প্রার্থী দিতেন না। এমনই ইঙ্গিত দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে তিনি কার্যত স্বীকার করে নেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা হেরে যাবেন।
শুক্রবার কলকাতার ইস্কনের রথযাত্রার উদ্বোধনের পর মমতা বলেন, ‘আগে থেকে বিজেপি যদি জানাত যে একজন আদিবাসী মহিলাকে তারা প্রার্থী করছে, তাহলে আমরাও (ভেবে দেখার) চেষ্টা করতাম। মহিলাদের প্রতি আমার একটা বিশেষ ভাবাবেগ আছে। রাজনীতিতে অবশ্য পুরুষ এবং মহিলা - সবাই আছেন। (আমার ক্ষেত্রে) ওরা হয়ত সেই বিষয়ট বিবেচনা করে না কখনও। সেটা নয়। (দেশের স্বার্থে) আমরা ১৬-১৭ ট বিরোধী দল মিলে একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম। (বৃহত্তর স্বার্থে) একজন প্রার্থী হলে ভালো হত। কিন্তু বিজেপির যখন ফোন এসেছিল, তখন ওরা শুধু আমাদের পদপ্রার্থী জানতে চেয়েছিল। ওদের প্রার্থীর বিষয়ে কিছু জানায়নি।’
আরও পড়ুন: Droupadi Murmu: 'এটাই মোদীর সবকা সাথ..', চোখে জল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রার্থী আদিবাসী দ্রৌপদীর
মমতা দাবি করেন, ১৬-১৭ টি বিরোধী দল মিলে যশবন্তকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করা হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে একার সিদ্ধান্তে সরে আসতে পারেন না। তিনি বলেন, ‘বিরোধীদের যে প্রার্থী করা হয়েছে, তাঁকে সামনে রেখে এগিয়ে যাব। তবে আগে যদি জানতাম (যে আদিবাসী মহিলাকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে) দাঁড় করানো হচ্ছে, তাহলে আমরা সম্মিলিতভাবে আলোচনা করতাম।’ সঙ্গে তিনি দাবি করেন, মহারাষ্ট্রে ক্ষমতা বদলের পরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর জয়ের সম্ভাবনা বেশি।
কেন আচমকা সেই মন্তব্য করলেন মমতা? রাজনৈতিক মহলের মতে, গত কয়েকদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি নেতারা প্রচার করছেন যে আদিবাসী মহিলাকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদপ্রার্থী করা হলেও তাঁকে সমর্থন করেননি মমতা। তা থেকেই আদিবাসীদের প্রতি মমতার মনোভাব ফুটে উঠছে। সেই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে মমতা সেই বার্তা দিলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সেইসঙ্গে মমতা বলেছেন, আদিবাসী, দলিতদের নিয়ে বিভাজন করেন না তিনি।