বাঁ দিকে বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর পরাচ্ছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ডান দিকে শোভন চট্টোপাধ্য়ায়ের ছেলে ঋষি।সংগৃহীত ফাইল ছবি
এবার কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা বাবা শোভন চট্টোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিলেন শোভন পুত্র ঋষি চট্টোপাধ্য়ায়। কার্যত নিজের হোয়াটস অ্যাপ স্ট্যাটাসে বাবাকে নিশানা করেই তোপ দেগেছেন তিনি।
সূত্রের খবর, সেখানে তিনি লিখেছেন, সকলের সামনে কীভাবে একজন মহিলার সঙ্গে ব্যবহার করতে হয় তাও জানে না। নিজের ও পরিবারকে ন্য়ায় পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। এখানেই শেষ নয়। তিনি লিখেছেন পড়ন্ত যৌবনেও বান্ধবী খুঁজে চলা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্য়ায়কে কুর্নিশ জানাই।
কার্যত অবেলায় বান্ধবী খুঁজে পেয়েছেন শোভন। সেই বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে পাশে বসিয়ে অতীতে তাঁর স্ত্রীকে নিশানা করে বার বার বাণ ছুঁড়েছেন শোভন। এদিকে গত শনিবার বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার জন্য় আলিপুর আদালত চত্বরে এসেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্য়ায়। তাঁর স্ত্রী তথা বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্য়ায়ও এসেছিলেন সেদিন। আর সেই কোর্টরুমের বাইরেই তাদের মধ্য়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় বলে খবর। সেই সংক্রান্ত ভিডিয়ো সোশ্য়াল মিডিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। তবে সেই ভিডিয়োতে প্রাথমিকভাবে কারোর মুখ দেখা যায়নি। কিন্তু গলার আওয়াজ শোনা যায়। তবে সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। আইনজীবীরাও সেই ঝগড়া সামাল দিতে একেবারে হিমসিম খেয়েছিলেন। এবার সেই বাবা শোভনকে নিশানা করে তির ছুঁড়লেন পুত্র ঋষি চট্টোপাধ্য়ায়।
তবে এর আগেও তিনি শোভনকে নিশানা করে নানা কটাক্ষ করেছিলেন। ফের সেই একই প্রসঙ্গ তুললেন তিনি।
এর আগে রত্না চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, একজন স্ত্রী ও দুটো বাচ্চা থাকা সত্ত্বেও লোককে দেখিয়ে নাচ গান করে নাটক করে লিভ ইন করতে পারেন তার থেকে শুভবুদ্ধি আমার। আমি সমাজের কাছে এখনও ভদ্র মহিলার মতো দুটো বাচ্চা নিয়ে বাস করি। আমার বাড়িতে কোনও পুরুষ মানুষ ঢোকেন না। আমার স্বামীর টাইটেল আমি ব্যবহার করছি। এটা আমার কাছে গর্বের।
তবে শোভন চট্টোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে যেমন রত্নার বিরোধ। তেমনি রত্নাকে নিশানা করে মাঝেমধ্য়েই তোপ দাগেন বৈশাখী। পালটা তির ছোঁড়েন রত্না। এই ঝগড়া, পালটা ঝগড়া, পরস্পরের বিরুদ্ধে বাক্যবাণ এটা যেন বঙ্গ জীবনের অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। তবে তার মধ্য়ে বৈশাখী ও শোভনের নানা সময়ের সুন্দর ছবি ভেসে ওঠে সোশ্য়াল মিডিয়ার পর্দায়। এনিয়ে নানা চর্চা চলে নেট পাড়ায়। আবার শুরু হয় কটাক্ষ।