বাংলার নির্বাচন শেষ হতেই উত্তর-পূর্বের ত্রিপুরা ও গোয়ার দিকে বিশেষ নজর দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যে ত্রিপুরায় অভিষের বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার গেলেও মমতার পা পড়েনি টিলার রাজ্যে। তবে বাঙালি অধ্যুষিত সেই রাজ্যে মমতা না গেলেও গোয়ায় ইতিমধ্যেই দুই বার সফরে গিয়েছেন তিনি। এই আবহে এবার মমতার গোয়া সফর নিয়ে কটাক্ষের সুর শোনা গেল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গলায়। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হিন্দি নিয়েও বিঁধেছেন শুভেন্দু।
বুধবার শুভেন্দু মমতাকে বিঁধে বলেন, ‘গোয়াতে ওটা সফর তো নয়, যেন আস্ত অশ্বডিম্ব। এর আগে ত্রিপুরা নিয়ে পড়েছিল। এখন গোয়াতেও শুরু হয়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র প্রচার করতে গেলেই জেতা যায় না। আর যা হিন্দু বলেন... ওই হিন্দি নিয়েই আবার চণ্ডী পাঠ করে চণ্ডীর পিন্ডি চটকেছেন। কে শুনবে এমন হিন্দি!’
উল্লেখ্য, গত রবিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে গোয়ায় গিয়েছিলেন মমতা। সেখানে একাধিক সভা করেছেন তিনি। বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেসকে পরপর তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোকে। দুই দিনের গোয়া সফরে বেনাউলিম, পঞ্জিম, আসানোরায় জনসভা করেন তৃণমূল নেত্রী। ২০২২-এ গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে গোয়াবাসীকে বার্তা দিতেই সৈকত রাজ্যে পৌঁছেছিলেন মমতা। তবে মমতার গোয়া সফর বা মেঘালয়-ত্রিপুরার মতো রাজ্যে তৃণমূলের সম্প্রসারণ নীতিকে প্রথম থেকেই কটাক্ষ করে এসেছে গেরুয়া শিবির।
তবে গোয়া দখলের লড়াইয়ে কোমর কষে নেমেছেন মমতা। আর তাই দলে নিয়েছেন অলিম্পিক পদকজয়ী কিংবদন্তি টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ, গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো, এনসিপি বিধায়ক, লালহলুদ প্রাক্তনী অ্যালভিটো ডি কুনহার মতো একাধিক ব্যক্তিত্বকে। সংস্কৃতি ও খেলার জগতের লোকজনকে নিয়ে দলভারী করার পাশাপাশি কংগ্রেস সহ অন্যান্য দলে ভাঙন ধরিয়েছেন। দীর্ঘ আঠারো বছর গোয়া শাসন করা মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির সঙ্গে বেঁধেছেন গাঁটছড়া। এই পরিস্থিতিতে আগামী বছরের নির্বাচনে বিজেপিকে তৃণমূল কতটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারে, এখন সেটাই দেখার।