সত্যের সামনাসামনি হওয়ার কথা বলেছিলেন রাজ্য়পাল সিভি আনন্দ বোস। সেই মতো তিনি রাজভবনের ফুটেজ সামনে এনেছিলেন। জনতার সামনে সত্যকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাতে কতটা সত্য সামনে এসেছে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। কারণ যিনি শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিলেন সেই তরুণীর ছবিই সামনে এসে যায় সেই ভিডিয়োতে। এখানেই বিতর্কের শেষ তেমনটা নয়।
এবার দেখা যাচ্ছে, পুলিশের একটি বিশেষ সূত্র দাবি করছে ২রা মে তারিখের একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ তাদের কাছে এসেছে। জি ২৪ ঘণ্টার প্রতিবেদন অনুসারে তেমনটাই জানা গিয়েছে। আর সেই ফুটেজে দেখা গিয়েছে যে ২রা মে রাজভবনের সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসছেন সেই তরুণী। যে তরুণী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিলেন।
ওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে পুলিশের হাতে যে ফুটেজ রয়েছে সেটা বিকেল ৫টা বেজে ১৫ মিনিটের। সেখানে ঠিক কী দেখা গিয়েছে?
উল্লেখ করা হয়েছে যে ওই ফুটেজে দেখা গিয়েছে যে ওই তরুণী কাঁদতে কাঁদতে সিঁড়ি দিয়ে নামছেন। সেখান থেকে ওই তরুণী স্পেশাল সেক্রেটারির চেম্বারে যান। সেখানে তখন একজন চিকিৎসক ছিলেন। তিনিও তাঁকে কাঁদতে দেখেছিলেন। এরপর তিনি ওই তরুণীকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন। সেখানে কিছুক্ষণ ছিলেন ওই তরুণী। এরপর তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে রাজভবন ওসির চেম্বারে যান।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাজভবনের তরফে যে সিসি ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছিল সেখানে রাজভবনের সিঁড়ির কোনও ফুটেজ ছিল না বলেই দাবি করা হয়েছে। সেই সঙ্গেই তরুণীর অনুমতি ছাড়া কেন তাঁর ছবি প্রকাশ করা হল তা নিয়েও তিনি নিজেই প্রশ্ন তুলেছিলেন।
তবে এবার পুলিশের হাতে যে ফুটেজ এসেছে বলে দাবি করা হচ্ছে তা বিস্ফোরক। এবার প্রশ্ন উঠছে এই ফুটেজ যদি সত্যি হয় তবে ওই তরুণী কেন সেদিন কাঁদছিলেন সেটা একটা বড় প্রশ্ন।
তবে রাজ্যপাল প্রথম থেকেই শ্লীলতাহানির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এদিকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগকে কেন্দ্র করে কার্যত গোটা বাংলা জুড়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। তার মাঝেই সাচ কা সামনা কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু অনেকের মতে, সেই কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে যে ফুটেজ সামনে আনা হয়েছে তাতে বিভ্রান্তি আরও বেড়েছে।
ওই তরুণী বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিলেন, 'এই হাস্যকর নাটকটা না করে পুলিশকে তদন্ত করার অনুমতি দেওয়ার সাহসটা দেখাতে পারতেন। …এখন আবার নিজের দোষ ঢাকার জন্য উনি হাস্যকর এক নাটক মঞ্চস্থ করলেন। সেটা করতে গিয়ে তিনি আমার ফুটেজটা প্রকাশ্য়ে আনলেন। আমি জানতাম ভারতীয় আইনে রয়েছে যে অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন রেখে তদন্ত হওয়া উচিত। তিনি আবার অপরাধ করলেন।…'।