গতবার গান্ধীজীর আদলে মহিষাসুরকে রূপ দেওয়ায় বিতর্কে জড়িয়ে ছিল কলকাতার রুবি পার্কের কাছে দুর্গাপুজোর আয়োজক অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। আর এবার তাদের পুজোকেই কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এবার অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার পুজোর থিম হল ‘সে নো টু এনআরসি, সিএএ।’ মহাসভার এবারের থিমে মতুয়া সহ সমস্ত সনাতনী মানুষদের জন্য নিঃশর্ত নাগরিকত্বের দাবি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কলকাতার ভিড় এড়িয়ে নির্জনে ঠাকুর দেখতে চান? ঘুরে আসুন হুগলির এই ৩ জায়গায়
প্রসঙ্গত, কয়েক সপ্তাহ আগে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন উপলক্ষে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল এবং ব্যক্তিকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ছিলেন অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী। সেখানে শুধু তিনি বাংলার স্বার্থে একযোগে কাজ করার বার্তা দিয়েছিলেন। তখন থেকে হিন্দু মহাসভার সঙ্গে তৃণমূলের আঁতাতের বিষয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। আবার তৃণমূল কংগ্রেস এনআরসিসি, সিএএ’এর প্রথম থেকে বিরোধিতা করে আসছে। এখন পুজোর থিমেও এনআরসিসি, সিএএ নিয়ে হিন্দু মহাসভার বিরোধিতায় স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা তৈরি তুঙ্গে।
যদিও কেন পুজোর এই থিম সে প্রসঙ্গে যুক্তিও দিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি। তাঁর বক্তব্য, বাংলার সার্বিক উন্নয়নের জন্য, মতুয়া সম্প্রদায়সহ সনাতনীদের জন্য নিঃশর্ত নাগরিকত্ব চায় । যারা এই দেশকে নিজেদের বলে মনে করে কেন তাদের নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে? কেন পরিচয়পত্রের অজুহাতে বাঙালি সনাতনীদের হেনস্তা করা হবে? দেশ থেকে তাদের তাড়ানোর জন্য জুজু দেখিয়ে আবেগ নিয়ে খেলা করা হচ্ছে। এইসব কারণেই এবারের দুর্গাপুজোয় এনআরসিসির বিরুদ্ধে থিম করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই এনআরসিসি, সিএএ’এর বিরোধিতা করে আসছেন।
উল্লেখ্য, গত বছর এই পুজোয় গান্ধীজীর আদলে মহিষাসুরকে রূপ দেওয়ার অভিযোগ উঠলেও তা কার্যত অস্বীকার করেছিলেন চন্দ্রচূড়। সংগঠনের রাজ্য সভাপতির বক্তব্য, মোটেও গান্ধীজীর আদলে মহিষাসুরকে রূপ দেওয়া হয়নি একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, এই সংগঠন গান্ধীজিকে জাতির জনক বলে মনে করে না। তারা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে জাতির জনক বলে মনে করে। সেই দাবিতে তারা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ছবি নোটে চালু করার দাবি জানিয়েছিল।