আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪২,০০০ শিক্ষককে নিয়োগপত্র বণ্টন শুরু করতে চলেছে বিহার সরকার। তাঁদের পঞ্চায়েত এবং পুরসভার মাধ্যমে নিয়োগ করা হচ্ছে। বেতন পাওয়ার জন্য ওই শিক্ষকদের বাধ্যতামূলকভাবে নথি যাচাই করতে হবে বলে জানিয়েছে বিহার সরকার।
বিহারের শিক্ষামন্ত্রী বিজয়কুমার চৌধুরী জানান, বোর্ড পরীক্ষা, অন্য রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শংসাপত্র এবং করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিষয়-সহ বিভিন্ন কারণে যে প্রার্থীদের নথি যাচাইয়ের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়নি, তাঁরা হলফনামা জমা দিলে নিয়োগ সংস্থার তরফে নিয়োগপত্রের বণ্টন করা হবে। যে প্রার্থীদের নথি যাচাই এখনও হয়নি, তাঁদের বেতন আপাতত শুরু হবে না।
তিনি বলেন, ‘যে প্রার্থীর নথি যাচাই করা হয়ে গিয়েছে, তাঁদের অবিলম্বে বেতন শুরু হবে। যে প্রার্থীদের নথি যাচাই এখনও হয়নি, তাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। নথি যাচাই শেষ হলে তবেই বেতন দেওয়া শুরু হবে।' মন্ত্রীর দাবি, কেন্দ্রীয় টিচার এলিজিবিটি টেস্ট (সিটেট) বা বিহার এলিমেন্টারি এলিজিবিটি টেস্ট (বিইটেট) উত্তীর্ণ ৯৫ শতাংশ প্রার্থীর নথি যাচাই হয়ে গিয়েছে।
২০০৬ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিহারে পঞ্চায়েত এবং স্থানীয় পুরসভার মাধ্যমে যে শিক্ষক নিয়োগ চলত, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ২০১৫ সালে ভিজিল্যান্স ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। দীর্ঘদিন সেই মামলা আদালতে ঝুলেছিল। আপাতত অত্যন্ত সতর্কভাবে পা ফেলছে শিক্ষা দফতর। কারণ হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও ৫৬২ জন প্রার্থী কেন্দ্রীয় টিচার এলিজিবিটি টেস্ট (সিটেট) বা বিহার এলিমেন্টারি এলিজিবিটি টেস্টের (বিইটেট) ভুয়ো শংসাপত্র দাখিল করেছেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছি আমি।’