শুক্রবার ঋষভ পন্তের নেতৃত্বাধীন দিল্লি ক্যাপিটালস অবশেষে জয়ের পথে ফিরেছে। শুক্রবার রাতে, ১২ এপ্রিল, লখনউ সুপার জায়ান্টস বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচে, দিল্লি ক্যাপিটালস ৬ উইকেটে জিতে মরশুমের দ্বিতীয় জয় নথিভুক্ত করেছে। এই জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলেও বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। এই জয়ের ফলে সুবিধা পেয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। দশম স্থান থেকে নবম স্থানে উঠে এসেছে দিল্লি।
দিল্লি ক্যাপিটালসের এই জয়ের ফলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বড় ক্ষতি হয়েছে। এক স্থান পিছিয়ে গিয়েছে আরসিবি। এখন আইপিএল ২০২৪ এর সবচেয়ে খারাপ দলে পরিণত হয়েছে। ৬ ম্যাচের মধ্যে ৫টিতে হেরে পয়েন্ট টেবিলের নীচের দশম স্থানে রয়েছে বিরাট কোহলি-ফ্যাফ ডু প্লেসিরা। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে পরাজয় সত্ত্বেও, লখনউ সুপার জায়ান্ট টপ-ফোরে নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছে।
এই পরাজয়ের কারণে, লখনউ সুপার জায়ান্টরা আইপিএল ২০২৪-এর পয়েন্ট টেবিলে একটি স্থান হারিয়েছে। দলটি তৃতীয় থেকে চতুর্থ স্থানে নেমে গিয়েছে। চেন্নাই সুপার কিংস এবং লখনউ সুপার জায়ান্ট উভয়েরই এখন সমান পয়েন্ট। তাদের সংগ্রহে রয়েছে ৬ পয়েন্ট। কিন্তু দুর্বল নেট রান রেটের কারণে লখনউ চতুর্থ স্থানে নেমে গিয়েছে। যেখানে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে চেন্নাই সুপার কিংস।
এই দু দল ছাড়াও টপ-৪-এ রয়েছে রাজস্থান রয়্যালস ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের দল। টেবিলের পাঁচ ও ছয় নম্বর যথাক্রমে হায়দরাবাদ ও গুজরাটের দখলে রয়েছে। সাত নম্বরে রয়েছে মুম্বই। পঞ্জাব এখন আট নম্বরে নেমে গিয়েছে।
আইপিএল ২০২৪-এর ২৬ তম ম্যাচ সম্পর্কে কথা বলতে গেলে, টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল লখনউ। এরপরে, আয়ুষ বাদোনির অর্ধশতকের সাহায্যে লখনউ সুপার জায়ান্টস স্কোর বোর্ডে ১৬৭ রান তোলে। একটা সময় ছিল যখন লখনউ ৯৪ রানে সাত উইকেট হারিয়েছিল, তখন দলের পক্ষে ১৩০ রানে পৌঁছানোও কঠিন ছিল। সেই সুযোগে বাদোনি ৩৫ বলে ৫৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে সম্মানজনক স্কোরে নিয়ে যান। এই সময়ের মধ্যে, বাদোনি অষ্টম উইকেটে আরশাদ খানের সঙ্গে ৭৩ রানের রেকর্ড জুটিও গড়েন। দিল্লির হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন কুলদীপ যাদব।
যাইহোক, দিল্লি ক্যাপিটালস সহজেই ১১ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেট ম্যাচটি জিতে নেয়। সহজেই ১৬৮ রানের লক্ষ্য অর্জন করে। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে এই রান তাড়া করতে গিয়ে জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক (৫৫) হাফ সেঞ্চুরি করেন, যেখানে অধিনায়ক ঋষভ পন্ত ৪১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তৃতীয় উইকেটে দুজনের মধ্যে ৭৭ রানের জুটি গড়ে উঠে ছিল যেটি ম্যাচের রঙ বদলে দেয়।