সারা টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স উপহার দেওয়ার পরে বিশ্বকাপ ফাইনালে হারতে হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই হতাশায় ভেঙে পড়ে ভারতীয় দল। আমদাবাদের ফাইনালের পরে ভারতীয় ক্রিকেটারদের হতাশায় ডুবে যাওয়ার ছবিটা কমবেশি সকলেই দেখেছেন। তবে তারকা ক্রিকেটারদের কান্নার ছবিটা কতটা হৃদয় বিদারক, ঠিক সেটাই বর্ণনা করলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
ইউটিউবে বদ্রিনাথের সঙ্গে আলোচনার সময় অশ্বিন স্পষ্ট জানান যে, একেই সকলের মন ভারি ছিল। তার উপরে রোহিত-কোহলির মতো ক্রিকেটারদের কাঁদতে দেখে নিতান্ত কষ্ট হচ্ছিল তাঁর। অশ্বিন বলেন, ‘যন্ত্রণাটা সবাই অনুভব করছিলাম। রোহিত কাঁদছিল, বিরাট কাঁদছিল। এটা দেখে বুক ফেটে যাচ্ছিল।’
অশ্বিন প্রাথমিকভাবে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ছিলেন না। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে চোট পাওয়া অক্ষর প্যাটেলের পরিবর্তে ভারতের বিশ্বকাপ দলে ঢুকে পড়েন তিনি। চেন্নাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে মাঠেও নেমে পড়েন। খারাপ বল করেননি। তবে কম্বিনেশনের স্বার্থে দ্বিতীয় ম্যাচেই প্রথম একাদশ থেকে বাদ পড়তে হয়ে অশ্বিনকে। তার পরে অবশ্য আর একটিও ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পাননি অশ্বিন।
নেতা হিসেবে রোহিত শর্মা কেন বাকিদের থেকে আলাদা, কোনও রাখঢাক না করে সেটাও স্পষ্ট জানিয়ে দেন অশ্বিন। তিনি বলেন, ‘যদি ভারতীয় ক্রিকেটের দিকে তাকাও, তবে সবাই বলবে মহেন্দ্র সিং ধোনি সেরা ক্যাপ্টেনদের মধ্যে একজন। তবে রোহিত শর্মা অসাধারণ একজন মানুষ। দলের প্রত্যেককে ও ভালোভাবে জানে এবং যথাযথ বোঝে। আমাদের প্রত্যেকের পছন্দ-অপছন্দের কথা ওর জানা। সকলের সঙ্গে ওর বোঝাপড়া দারুণ। ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেককে জানার তাগিদ দেখা যায় ওর মধ্যে।’
অশ্বিন আরও যোগ করেন, ‘একটা আলাদা মাত্রার ক্রিকেট খেলার কথা বলা এক বিষয়। মাঠে সেটা করে বাকিদের উদ্বুদ্ধ করাটা অন্য বিষয়। রোহিত সেটাই করে। রোহিতকে আমি দীর্ঘদিন ধরে জানি। ও আমদের আত্মবিশ্বাস জোগায়। ও বলে যে, যদি ১৫০ রানে অল-আউট হয়ে যাই, তাও ঠিক আছে। তবে আমরা যেন মাঠে নির্ভিক ক্রিকেট উপহার দিতে পারি।’
শেষে টিম ইন্ডিয়ার তারকা স্পিনারের উপলব্ধি, হয়তো ট্রফি আসেনি, তবে দলের প্রতিটি ক্রিকেটার বিশ্বকাপে নিজেদের সেরাটা মেলে ধরেছেন। সবার পারফর্ম্যান্স ছিল দারুণ।