মহকুমা শাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষুব্ধ প্রার্থীর মনোনয়ন ছিঁড়লেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি। ঘটনার সময় পুলিশও সামনেই ছিল। তবে তা সত্ত্বেও মনোয়ন পেশে বাধা পেলেন নির্দল প্রার্থী। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়িতে। জানা গিয়েছে, টিকিট না পেয়ে জলপাইগুড়ির ১৬ নং ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর পৌলমি সাহা নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। তবে জলপাইগুড়ি পৌরসভার বিদায়ী বোর্ডের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল পৌলমি নিজের মনোয়ন দাখিলই করতে পারেননি। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি অভিজিৎ সিনহার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, পৌলমি সাহা নিজের মনোয়ন জমা দিতে গেলে কেন্দ্রের ভিতরে পুলিশের সামনেই অভিজিৎ তাঁর হাত থেকে মনোনয়ন সংক্রান্ত যাবতীয় নথি ছিনিয়ে নিয়ে তা ছিঁড়ে ফেলেন। ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত অভিজিৎ। তাঁর পাল্টা দাবি, মনোয়ন পেশ করতে যে ১০ জন প্রোপোজার লাগে, তা জোগাড় করতে পারেননি পৌলমি সাহা। আর তাই তৃণমূল নেতার উপর দোষ চাপাচ্ছেন তিনি। অভিজিতের আরও দাবি, কেন্দ্রে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই আসল সত্যি বেরিয়ে আসবে।
এদিকে শুধু ১৪ নং ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলরই নন, মনোনয়ন পত্র ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন সেই ওয়ার্ডেরই আরও এক নির্দল প্রার্থী। মনোয়ন জমা দিতে গেলে নির্দল প্রার্থী মালবিকা ঘোষের মনোয়ন ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। মহকুমা শাসকের দফতরেই মালবিকার মনোয়ন ছিঁড়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ।