আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলায় জেলায় অশান্তির অভিযোগ উঠছে। প্রার্থীদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা মারার অভিযোগের পাশাপাশি খুনের অভিযোগ উঠছে। আর তারই মধ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে বোমা। এবার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হল প্রচুর পরিমাণে বোমা তৈরির মশলা ও সরঞ্জাম। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থানার আলমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গুসুম্বা গ্রামের। এই ঘটনায় অবৈধভাবে বোমা তৈরির মশলা মজুদ রাখার অভিযোগে তৃণমূল প্রার্থীর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম মিঠুন দাস। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্বাভাবিকভাবে এনিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের সাফাই সেগুলি বোমার মশলা নয়, আসলে মাছের খাবার।
আরও পড়ুন: ভাঙড়ে উদ্ধার সাতটি তাজা বোমা, তৃণমূল কর্মীকে খতম করতেই কি রাখা হয়েছিল?
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আলমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নম্বর বুথ থেকে এবার তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন স্বপ্না দাস। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার তাঁর বাড়িতে দিনভর তল্লাশি চালায় কাটোয়া থানার পুলিশ। শেষে তাঁর বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কেজি বোমার মশলা উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও কেজি তিনেক পেরেক, পাথরকুচি এবং বোমা তৈরির অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। এগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সোমবার রাতেই তৃণমূল প্রার্থীর স্বামীকে গ্রেফতার করে কাটোয়া থানার পুলিশ। তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতকে আজ কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।
যদিও বোমার মশলা মজুত রাখার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, পুলিশ মাছের খাবার উদ্ধার করে বলছে বোমার মশলা উদ্ধার করেছে। অঞ্চলের সভাপতি নীলমণি বসু জানিয়েছেন, ‘তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ি থেকে মাছের খাবার উদ্ধার করেছে বলে জানতে পেরেছি। বোমার মশলা খুঁজে পায়নি।’
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বাজতেই জেলায় জেলায় উদ্ধার হচ্ছে বোমা। গত সপ্তাহে মালদার রতুয়া থেকে ৪০টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে কয়েক সপ্তাহ আগে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণে বোমা উদ্ধার হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শাসক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বোমা মজুত রাখার অভিযোগ উঠছে। গতকাল মুর্শিদাবাদের চারটি থানা এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে বোমা উদ্ধার হয়েছে।