এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার না করার অভিযোগ তুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর অভিযোগের তির প্রশাসনের দিকে। এমনকী ভোট করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তুলে পুনর্নির্বাচনের দাবি করলেন দিলীপ ঘোষ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিরোধীরা দাবি করে আসছে বল্গাহীন সন্ত্রাস ঘটেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এই নির্বাচনের বলি হয়েছেন ১৫ জন। তার মধ্যে ৯ জনই তৃণমূল কংগ্রেসের। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তৃণমূল সন্ত্রাস করলে তাঁদের এত কর্মী মারা যাবে কেন?
এদিকে হাতে আর দু’দিন বাকি। তারপরই ১১ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হবে। ইতিমধ্যেই সেদিন কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মামলা করতে যাবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তার প্রাক্কালে মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বলে দাবি করেন দমদমের সাংসদ। ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতির জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেই দায়ী করেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিকভাবে ব্যবহার করলে এসব হতো না।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? এখন আরও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এখন সংখ্যাটা ১৯ জনে গিয়ে ঠেকেছে। যার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসেরই ১১ জন কর্মী বলি হয়েছেন। এই আবহে মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘কোথায় ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী? হাইওয়েতে গাড়ি করে ঘুরছিল। আর থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছিল। আদালত জোর করে পাঠালে কী হবে, প্রশাসন তো ব্যবহার করেনি। প্রশাসন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করলে এত মানুষ খুন হতো না। ভোট করতে দেওয়া হয়নি বলেই পুনর্নির্বাচনের দাবি করব। আর আক্ষেপের সুরে সৌগত রায় বলেন, ‘মৃত্যুর এই ঘটনা আটকানো যেত। নিজেদের কর্মীদেরই আমরা বাঁচাতে পারিনি। কারণ এই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও ভূমিকাই ছিল না। উল্টে তারা এসে পুলিশের ভূমিকাকে নগণ্য করে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: ‘এত প্রাণ যাওয়ার পরও তৃণমূল কর্মীরা যে ধৈর্য্য দেখিয়েছেন তা প্রশংসনীয়’, মন্তব্য সৌগতর
আর কে, কী বলেছেন? আগের থেকে অনেকটা সন্ত্রাস কমিয়ে আনা গিয়েছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সাংবাদিক বৈঠক করে বলা হয়েছে, উৎসবের মেজাজে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে। বিরোধীরা সন্ত্রাস করেছে। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের এত কর্মী মারা গিয়েছে। যদিও দিলীপ ঘোষের দাবি, ‘অধিকাংশ বুথে বাহিনী দেখাই যায়নি। যার পরিণতিতে এই মৃত্যুমিছিল।’ পাল্টা বিজেপি সাংসদকে বিঁধেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘উনি বুঝে গিয়েছেন বিজেপি কী পাবে। তাই এখন অশান্তির কথা বলছেন। বিজেপির হার মানে শুভেন্দু–সুকান্তর চাপ, তাতে দিলীপবাবু খুশিই হবেন।’