পঞ্চায়েত ভোট গণনার দিনও হিংসার পরিচিত চিত্র রাজ্য জুড়ে। কোথাও বোমাবাজি। কোথাও আবার প্রার্থীকেই অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। পুলিশ কোথাও অতিসক্রিয় তো কোথাও নিষ্ক্রিয়। জায়গায় জায়গায় বিরোধী প্রার্থী ও এজেন্টরা আক্রান্ত হচ্ছেন। স্ট্রংরুমে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে বহু জেলায়। এই সবের মাঝেই এক বিস্ফোরক টুইটে 'ডায়মন্ড হারবার' মডেলের উল্লেখ শুভেন্দু অধিকারীর। বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক গণনা বন্ধ করার দাবি জানান রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সামনে। (পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় খবর এবং লাইভ আপডেট জানতে ক্লিক করুন এখানে)
টুইট বার্তায় শুভেন্দু লেখেন, 'গণনার দিনেও পুরোদমে চলছে ডায়মন্ড হারবার মডেল। তৃণমূলের গুন্ডারা এজেন্ট এবং প্রার্থীদের বাধা দিয়ে নির্বাচন চুরি করার শেষ মরিয়া চেষ্টা করছে। বিজেপি এবং অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি গণনা হলে প্রবেশ করতে পারছে না। তাদের ১ থেকে ২ কিলোমিটার দূর থেকেই গণনা কেন্দ্রের দিকে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। কাউন্টিং এজেন্টদের ভয় দেখানোর জন্য বোমা ছোড়া হচ্ছে। তাদের নির্দয়ভাবে মারধর করা হচ্ছে, এমনকি অপহরণও করা হচ্ছে।'
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশ আজ, ২০১৮ সালের ভোটে তৃণমূলের 'স্ট্রাইক রেট' ছিল কত
শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, 'ডায়মন্ড হারবারের ফকিরচাঁদ কলেজ, কেশপুর কলেজ, গলসি, কাটোয়া, আমতা, বাগনান, বারাবানি, কিরনাহার সহ আরও বহু জায়গায় কাউন্টিং এজেন্ট এবং প্রার্থীকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উচিত, অবিলম্বে গণনা প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে। আগে নিশ্চিত করতে হবে যে সমস্ত বিরোধী গণনা এজেন্ট এবং প্রার্থীরা নির্বিঘ্নে গণনা কেন্দ্রগুলিতে পৌঁছতে সক্ষম হবেন। তারা অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালেই কেবল গণনা প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত।'
আরও পড়ুন: 'কন্ট্রোল রুমে বসে যে রাজনীতিকরা রিমোট চালায়...', কলকাতায় নেমেই বিস্ফোরক রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস
এদিকে আজ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, ৯ জুলাই নির্বাচন কমিশনের কাছে বিজেপি জানিয়েছিল, ৬০০০ বুথে পুনর্নির্বাচন প্রয়োজন। সঙ্গে অনিয়মের প্রমাণ দেওয়া হয়েছিল। ভিডিয়ো জমা দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই ৬০০০ বুথে পুনর্নির্বাচন হয়নি। শুধু তাই নয়, যে ৬৯৬টি বুথে পুনর্নির্বাচন হয়েছে, সেগুলি তাদের তালিকায় ছিল না। এই আবহে হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।