এবার গোটা ভোটপর্ব জুড়ে একের পর এক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ছেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। এবার মথুরাপুরের একটি নির্বাচনী সভা থেকে ফের অমিত শাহকে নিশানা করে বড় চ্য়ালেঞ্জ ছুঁড়লেন তিনি। সব মিলিয়ে তিনটি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন তিনি। তার মধ্য়ে অন্য়তম হল তিনি বলেন, 'ডায়মন্ডহারবারে আপনি( অমিত শাহ) নিজে এসে মনোনয়নপত্র জমা দিন ও আমাকে হারিয়ে দেখান।' কিন্ত কেন তিনি অমিত শাহকে নিশানা করলেন?
আসলে বর্ধমানের সভা থেকে অভিষেককে নিশানা করেছিলেন শাহ। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘আমাকে বলুন, আপনারা কি ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী বানাতে চান? মোদীজি কে প্রধানমন্ত্রী বানাতে চান? মোদীজি–কে প্রধানমন্ত্রী বানাতে চাইলে অসীম সরকারকে ভোট দিয়ে সাংসদ করুন। আগামী দিনে মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করুন। তবেই বাংলার মানুষও আয়ুস্মান প্রকল্প–সহ একাধিক সুবিধা পাবেন। যাঁরা বাংলার মানুষের টাকা আত্মসাৎ করেছেন তাঁদের উল্টে সোজা করার কাজ করবে মোদী সরকার।’
এরপরই মথুরাপুরের সভা থেকে তার জবাব দিলেন অভিষেক। তিনি বলেন, আমি কথা দিচ্ছি আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। কিন্তু অমিত শাহকে এই তিনটি কাজ করতে হবে। বাংলার ১ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা বকেয়া পাওনা আছে সেটা ছেড়ে দিন। গরিব মানুষের ছাদের টাকা সেটা ছে়ড়ে দিন। তিনি বলেন, আপনাকে তিনটি রাস্তা দিলাম। আপনি বলছেন তৃণমূল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে মুখ্য়মন্ত্রী বানাতে চায়। আপনার মনের সুপ্ত বাসনা। আপনি নিজেই আপনার ছেলেকে বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট বানিয়েছেন। সবাই আপনার মতো নয়।
অভিষেক বলেন, আপনি জীবনে আন্দোলন করেননি। আপনার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। আজকে কাউকে ইডি -সিবিআই ডাকলে আপনি চোর বলেন, আপনি নিজেই জেলখাটা আসামি।
তবে এদিন বর্ধমানের সভা থেকে তৃণমূলকে নিশানা করে একের পর এক আক্রমণ চালান শাহ।
মমতা এবং অভিষেকের রামমন্দির উদ্বোধনে না যাওয়া নিয়েও কটাক্ষ করেন অমিত শাহ।তিনি বলেন, ‘মমতা দিদি ও ভাইপোকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। কিন্তু অনুপ্রবেশকারীদের ভয়েই তাঁরা রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন যাননি। অযোধ্যায় রামমন্দির করেছে বিজেপি সরকার। ৭০ বছর ধরে এই রামমন্দির ঝুলিয়ে রেখেছিল কংগ্রেস, তৃণমূল এবং কমিউনিস্টরা। মোদী সরকার ক্ষমতায় এসেই রামমন্দির করেছে। এবার মমতা দিদি–ভাইপোর বিদায় নেওয়ার পালা। বাংলার মানুষও চায় কাশ্মীরে ভারতের পতাকা উড়ুক। তাই মমতা দিদি আপনার না চাওয়াতে কিছু যায় আসে না।’