নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর যে আঘাত নেমে এসেছিল তার নেপথ্যে ছিল খুনের ছক। এই ঘটনা নিয়ে যখন রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড় তখন বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মদন মিত্র। আর তাতেই আরও শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ তিনি এটুকু বলেই থেমে থাকেননি। তিনি আরও জানান, এই খুনের ছকের পেছনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মানুষের হাত আছে। মদন মিত্রের এই কথা নির্বাচনের আগে জোর চর্চার সৃষ্টি করেছে।
ঠিক কী বলেছেন মদন মিত্র? বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর সব পুলিশ তাদের অধীনে। মানুষ ভোট দিতে যাবে কোন সাহসে? পরিকল্পনামাফিক হামলা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর উপর। প্রশিক্ষণ না থাকলে এমন হামলা করা যায় না। মুখ্যমন্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। নিক্কার প্রশিক্ষণ যারা নেয় তারাই এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। এমন কোনও রাজ্য আছে যেখানে এরকম ঘটনা ঘটে, বলুন গুজরাট, তাহলেই তা হয়ে উঠত অন্য গোধরা। এটা খুনের ছক।’
মদন মিত্রের এই মন্তব্যে পুলিশ–প্রশাসন এবং গোয়েন্দাদের উপর চাপ বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার মেদিনীপুর যাচ্ছেন দুই পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে ও অজয় নায়েক। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন দু’জনে। হেলিকপ্টারে যাচ্ছেন। বৈঠকে ঝাড়গ্রাম জেলাকেও ডাকা হয়েছে। পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে ও অজয় নায়েককে ওয়াই ক্যাটেগরি নিরাপত্তা দেওয়া হল। ওয়াই ক্যাটেগরি সঙ্গে স্কটকে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বভার গ্রহণ করল সিআরপিএফ।
নবান্ন সূত্রে খবর, আপাতত রবিবার পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর সব কর্মসূচি বাতিল। ৭২ ঘণ্টা পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রীর পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে। নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এদিন দেখা করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ ব্রায়েন ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই ডিজিপি–সহ সিনিয়র অফিসারদের সরানো হয়েছে। তাই এইসব হয়েছে। নির্বাচন কমিশন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় উদাসীন।’