একটা সময় আর্থিক কষ্টে ভুগেছে বচ্চন পরিবার! খারাপ সময়ে ‘শাহেনশা’ পুত্র অভিষেক বচ্চনকে অনেক ‘স্ট্রাগল’ করতে হয়েছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই আর্থিক কষ্ট নিয়ে মুখ খুলেছেন অমিতাভ-জয়া পুত্র। সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছিলেন অভিষেক। তবে অমিতাভ যেমন সাফল্য দেখেছেন তেমনি ব্যর্থতাও দেখেছেন। আরও পড়ুন-‘বাব্বা! এত্ত ফেমাস আমি…নিজের স্ট্রাগল বেচবো না', তন্বীকে আনফলো করা নিয়ে জবাব সৌমিতৃষার
কিছু ভুল সিদ্ধান্তের জন্য একটা সময় ঠকতে হয়েছিল বিগ বি-কে। প্রযোজনা সংস্থা খুলে দেনার দায়ে ডুবে গিয়েছিলেন অমিতাভ। এই অর্থনৈতিক সঙ্কটের প্রভাব পড়ে অভিষেক বচ্চনের উপর। বিদেশে পড়তে গিয়েছিলেন অভিষেক। কিন্তু মাঝপথে কলেজ ছাড়তে হয় অভিষেককে। অতীতের সেই দুঃস্বপ্ন হাতড়ে দেখলেন জুনিয়র বি।
এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক বলেন,'আমি কলেজ ছেড়ে (দেশে) ফির আসি। বাবা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। উনি একটা কোম্পানি খোলেন, যা ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়ে। তাই ভেবেছিলাম আমার উচিত বাবার পাশে থাকা।' এখানেই শেষ নয়, অভিষেক বলেন, গৌতম বেরির সেটে প্রোডাকশন বয় হিসাবে কাজ পর্যন্ত করেছিলেন তিনি। সেখানে চা বানাতেন। আফসোসের সুরে অভিষেক যোগ করেন, ‘কোনও পরিচালক অমিতাভ বচ্চনের ছেলেকে লঞ্চ করতে, দায়িত্ব নিতে রাজি ছিল না।’
ছোট থেকে অভিনেতা হাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলে অভিষেক, একসময় তা চুরমার হতে বসেছিল। এরপর বন্ধু রাকেশ মেহরাকে সঙ্গে নিয়ে নিজেই ছবির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন অভিষেক। সেটি যদিও খারিজ করে দেন অমিতাভ বচ্চন। পরিবারের অর্থকষ্টের কথা বলতে গিয়ে অভিষেক আরও বলেন, ‘২০ বছর আগে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড নিয়ে কয়েকমাস আগে থেকেই তোড়জোড় শুরু হয়ে যেত। যে কী পরা হবে। ওইদিন যেন শ্যুট না থাকে। জামাকাপড় কিনতে হত, সেইসময় কেউ পোশাক দিত না। বিরাট ব্যাপার ছিল। গোটা ইন্ডাস্ট্রি এক ছাদের নীচে।… আমি ভেবেছিলাম কী পরব? শুনতে অদ্ভূত লাগতে পারে, কিন্তু আমার কাছে তেমন পোশাক ছিল না, সেই স্বচ্ছলতাও ছিল না। খুব কঠিন সময় ছিল।’
অবশেষে দিদি শ্বেতার বিয়ের শেরওয়ানি পরে ফিল্মফেয়ারের মঞ্চে পৌঁছেছিলেন অভিষেক। সেখানেই বচ্চনের পাশের আসনে জেপি দত্তা প্রথম দেখেন অভিষেককে। দু-দিন পর ফোনে ডাক আসে ‘রিফিউজি’র জন্য। সেই শুরু, তারপর আর ফিরে দেখেননি অভিষেক। বাবার সঙ্গে তুলনা জারি থাকলেও গত ২৩ বছরে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের পরিচিতি তৈরি করেছেন বচ্চন পুত্র। বক্স অফিসে অভিষেকের শেষ রিলিজ ছিল ‘ঘুমর’।