আমিশা প্যাটেল এখন ‘গদর ২’- এর সাফল্যে মুগ্ধ। তিনি বলিউড হাঙ্গামাকে একটি নতুন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে ২০০১ সালে প্রথম ‘গদর: এক প্রেম কথা’ মুক্তির পরেই তাঁকে অবসর নিতে বলা হয়েছিল। এবং পরামর্শটি অন্য কেউ নয়, তাঁকে দেন স্বয়ং চলচ্চিত্র নির্মাতা সঞ্জয় লীলা বনসালি ।
আমিশা জানিয়েছেন, সঞ্জয় লীলা বনসালি ‘গদর’ দেখার পরে একটি সুন্দর চিঠি লিখেছিলেন। প্রশংসাসূচক চিঠি। এবং যখন আমিশা তাঁর সঙ্গে দেখা করেন, তখন তিনি বলেছিলেন, ‘আমিশা, তোমার এখন অবসর নেওয়া উচিত।’
আমিশার কথায়, ‘আমি বললাম, কেন?’ তিনি বলেছিলেন, ‘কারণ তুমি ইতিমধ্যে দুটি ছবি থেকে এমন কিছু অর্জন করেছো, যা বেশির ভাগ লোক তাঁদের পুরো কেরিয়ারে অর্জন করতে পারে না। জীবনে একবার ‘মুঘল-ই-আজম’, একটি ‘মাদার ইন্ডিয়া’, একটি ‘পাকিজা’, একটি ‘শোলে’তে কাজ করা যায়। তোমার দ্বিতীয় ছবিতে এটি ছিল। তো এরপর কী?’
(আরও পড়ুন: হলে রমরমা, আমির খানের দঙ্গলের রেকর্ড ভাঙল সানি! গদর ২-এর ১২ দিনের আয় ৪০০ কোটি)
আমি শা বলেছেন, ‘আমি তখন এটা বুঝতে পারিনি। কারণ আমি ছোট ছিলাম, ফিল্ম জগতে নতুন ছিলাম।’
এর পরে বনসালির কথাই সত্যি হয়। আমিশা বলেছেন, সঞ্জয় যা বলেছিলেন তা তাঁর পুরো কেরিয়ার জুড়ে সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছিল। কারণ লোকেরা ‘গদর’-এর সাফল্য হজম করতে পারেনি। কারণ এটি তাঁর প্রথম ছবি, ২০০০ সালের রোমান্টিক সিনেমা ‘কাহো না… পেয়ার হ্যায়’কে ছাড়িয়ে যায়। মজার বিষয় হল, এই বছর ‘গদর ২’ আসার আগে পর্যন্ত তাঁর অন্য কোন ছবি গদরের সাফল্যকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি।
(আরও পড়ুন: 'সময় খারাপ চলছিল, তবে বলিউড এখনও শেষ হয়নি', গদর২ সাফল্যে কাদের বার্তা দিলেন করণ?)
‘গদর সিনেমাটি এতটাই উচ্চতায় পৌঁছেছে, যে তার পরে আমার যে ছবিই সুপারহিট হয়েছে, তা হোক ‘হামরাজ’, ‘ভুল ভুলাইয়া’ বা ‘হানিমুন ট্রাভেলস প্রাইভেট লিমিটেড’,তার সঙ্গে ‘গদর’-এর তুলনা হয়েছে,’ আমিশা একই সাক্ষাৎকারে বলেছেন।
‘গদর ২’ হল অনিল শর্মার ব্লকবাস্টার অ্যাকশন রোম্যান্স ছবি ‘গদর: এক প্রেম কথা’-র সিক্যুয়াল। এতে সানি দেওল এবং আমিশা ভারতীয় ট্রাক চালক তারা সিং এবং পাকিস্তানি মহিলা সকিনার আইকনিক চরিত্রে অভিনয় করেছেন। দেশভাগের সময়কার গল্প এটি। সিক্যুয়েলটিতে সানি এবং আমিশাকে ২২ বছর পরে তাঁদের আগের ভূমিকায় পুনরায় দেখা গিয়েছে।