এই মুহূর্তে টলিপাড়ার হট টপিক জিতু-নবনীতার বিবাহবিচ্ছেদ। মাত্র চার বছরেই এই ‘ইস্মার্ট জোড়ি’র পথ যে এইভাবে আলাদা হবে তা দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি অনুরাগীরা। কিন্তু ছয় মাস আগেই ছাদ আলাদা হয়েছে দুজনের। এই মাসের ডিভোর্সের শংসাপত্রও হাতে পেয়ে যাবেন। এতকিছুর মাঝেই ফের সম্পর্ক ছিন্ন হল জিতুর। আরও পড়ুন-‘আমার স্ত্রী এখন ভুলটা বুঝতে পারে’, নবনীতা-স্নেহালের প্রেমচর্চা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন জিতু
বিয়ে ভাঙার খবর সোশ্যালে প্রথম জানিয়েছিলেন নবনীতা, এবার অবশ্য জিতু নিজেই জানালেন তাঁর ‘আরেক প্রিয়’র সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎ-এর কথা। এই প্রিয়ের অবশ্য জীবন নেই, চার পায়ে দৌড়ে বেড়ায় সে। কথা হচ্ছে জিতুর ৬ বছর পুরোনো লাল গাড়ির। এই গাড়ির সঙ্গে জড়িয়ে অজস্র স্মৃতি, তবে সব ছিন্ন হল বুধবার। খুব সম্ভবত এই ভার্না গাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন নায়ক। সেই জায়গা ভরাট করতে আসবে নতুন ঝাঁ চকচকে গাড়ি, তবুও মায়ায় জড়ানো জিতুর ‘লালষাঁড় ৭২৭২’। এই নামেই গাড়িটিকে ডাকতেন ‘অপরাজিত’ তারকা। নতুন এলেও পুরোনোকে ভোলা যায় না, তবে সম্পর্ক ছিন্ন তো করতেই হয়। তা স্পষ্ট জিতুর পোস্টে। গাড়িকে বিদায় জানাতে গিয়ে চোখের জল বাধ মানেনি জিতুর। জল গড়িয়ে পড়ে।
অভিনেতা ফেসবুকে গাড়িটিকে ‘অলবিদা’ জানানোর মূহূর্তের পাশাপাশি আরও একটি পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করেন। ২০১৭ সালের ২১শে অগস্টের ছবি। শো-রুমে যখন এই লাল ষাঁড়ের সাথে প্রথম দেখা সেটি সযত্নে ইনস্টায় পোস্ট করেছিলেন, সেটি ফিরে দেখলেন নায়ক। লেখেন- ‘আমার আরেক প্রিয়’র ছুটি হলো। অনেক উঠা-পড়ার সাক্ষী ছিলো এই লাল ষাঁড়। বহু রাতের আশ্রয়ও ছিল আমার ৭২৭২… আজ,মিলিয়ে যাওয়ার সময় সত্যিই চোখটা চিক-চিক করে উঠেছিল। কেন! তা,লিখে বা বলে বোঝাতে অক্ষম বন্ধু। ছোট্ট ছিলো, কিন্তু বড্ড আপন ছিলো।’
ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দায় জিতুর উত্থান, ‘অপরাজিত’র সাফল্য-- সবকিছুই গত কয়েক মাসে যেন ম্লান হয়ে গিয়েছে তাঁর ডিভোর্সের চর্চার জেরে। নবনীতার সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙা নিয়ে এইসময়কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জিতু জানান, ‘আমার স্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে মন্তব্য করে ভুল করেছন। আমি পরিণত হয়ে সেই ভুল করতে পারি না। এখন ও নিজের ভুলটা বুঝতে পারে’। প্রসঙ্গত, গত ২৯শে জুন ফেসবুকে ফলাও করে ডিভোর্সের ঘোষণা করেছিলেন নবনীতা। তারপর থেকেই দুজনের সম্পর্ক নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে সোশ্যালে। সেই পোস্টের কথাই এখানে জানান জিতু।
বিয়ে না টিকলেও আগামী দিনেও নবনীতার সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখতে আগ্রহী জিতু। পরিবারের অংশ হিসাবে পাশে থাকতে না পারলেও বন্ধু হিসাবে আজীবন নবনীতার সব সমস্যায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চান অভিনেতা।