দীপার মনের কথা মোটে বুঝতে চায় না সূর্য! সোনা-রূপা দীপার যমজ সন্তান তা জেনে গিয়েছে সে, কিন্তু আজও সূর্যর বিশ্বাস দীপা আর কবীরের অবৈধ সন্তান সোনা-রূপা। সেই সন্দেহের আগুনে ঘি ঢালছে মিশকা। ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র গল্পে এখন বিরাট টুইস্ট। এদিকে দিব্যজ্যোতি-স্বস্তিকার সম্পর্কেও এখন যেন অবিশ্বাসের কালো ছায়া! ইনস্টাগ্রামে পরস্পরকে আনফলো করেছেন এই অনস্ক্রিন জুটি। কেন এমন সিদ্ধান্ত তা নিয়ে মুখে কুলুপ দুজনের। কিন্তু সোশ্যল মিডিয়ায় একদিকে উদাসী মনে ছবি দিচ্ছেন স্বস্তিকা। অন্যদিকে সূর্যর ফেসবুকের দেওয়ালে মন কেমনের কবিতা!
অভিনয়ের পাশাপাশি লিখতেও ভালোবাসেন দিব্যজ্যোতি। নিজের লেখা এক কবিতা সম্প্রতি সোশ্যালে পোস্ট করেছেন তিনি। তাঁর ঝাঁঝালো কলমে উঠে এসেছে বর্তমান সময়ের এক ভয়ঙ্কর রূপ। দিব্যজ্যোতি লিখেছেন- ‘প্রতিদিন তন্দ্রা আসে…ক্লান্ত চোখ আমি বুজি…চোখ খুলি প্রতিনিয়ত…বল পাই আবার লড়াই করার………..কোকিলরা ডিম পাড়ে…অক্ষম সুন্দরী…বোকা কাক খেটে মরে….সঙ্গে উত্তরসূরী। আমি ভাবি শ্রান্ত মনে….রং বদলায় নাকি কুমির?…চোখ মেলে দেখি খোলস ছেড়ে….রং পাল্টানো গিরগিটির ভীড়।……… পালাব আমি? তাকিয়ে দেখি…দরজার খিল হয়েছে বন্ধ…চোখ আছে আর বিবেক আছে….তাও হয়েছি অন্ধ। ……রঙের মায়ায় গিরগিটিরা, করতে চাইবে জব্দ। ওই প্রলোভন কে গুঁড়িয়ে দিয়ে,আমরা হব সঙ্গবদ্ধ। জব্দ করছে চাইছে যারা, তাদেরই করব জব্দ।’
দিব্যজ্যোতির এই পোস্টে উপচে পড়ছে মন্তব্যে। কেউ লিখেছেন, ‘আর কতদিন একে অপরের উপর রেগে থাকবে তোমরা? প্লিজ ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নাও’। অনেকের মনেই প্রশ্ন, ‘কেন তোমরা পরস্পরকে আনফলো করলে?’
দিন দশেক আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পরস্পরকে আনফলো করে দিয়েছেন স্বস্তিকা ঘোষ ও দিব্যজ্যোতি দত্ত। একটা সময় দুজনের গাঢ় বন্ধুত্ব নিয়ে কম চর্চা হয়নি টেলিপাড়ায়। এমনকি তাঁর পরস্পরকে মন দিয়েছেন, এমন রটনাও শোনা গিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে কী এমন ঘটল যে সোজা একে অপরকে আনফলো করলেন তাঁরা? এই নিয়ে মুখ খুলেছেন দিব্যজ্যোতি। নায়কের সাফাই, বন্ধুদের মধ্যে আড়ি-ভাব লেগেই থাকে! সংযোজন- ‘ঝামেলা যদি হয়েও থাকে তবে তা ঠিকও হয়ে যাবে’। সুতরাং ঝামেলা যে হয়েছে তা একপ্রকার মেনেই নিলেন অভিনেতা। টিভিনাইন বাংলাকে দিব্যজ্যোতি বলেন, ‘কেন আনফলো করলাম সে কারণ না হয় ব্যক্তিগতই থাক।’
গত সপ্তাহের টিআরপি রিপোর্টে বেঙ্গল টপারের পজিশন হারিয়েছে এই মেগা। যা স্বস্তিকা-দিব্যজ্যোতি ভক্তদের কপালে চিন্তার ভাঁজ আরও চওড়া করেছে।