দীপাকে ভুল বোঝাটাই যেন সূর্যর জীবনের একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান। নিজের মা-বাবা, স্ত্রীকে নয় একমাত্র বেস্ট ফ্রেন্ড মিশকাকেই বিশ্বাস করে সে। ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ভক্তদের একটা বড় অংশের কাছে হিরো নয়, সূর্য এখন ভিলেন। কিন্তু পর্দার সেই ভুল বোঝাবুঝির রেশ এইভাবে বাস্তবেও নেমে আসবে তা কে জানতো!
দিন দশেক আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পরস্পরকে আনফলো করে দিয়েছেন স্বস্তিকা ঘোষ ও দিব্যজ্যোতি দত্ত। একটা সময় দুজনের গাঢ় বন্ধুত্ব নিয়ে কম চর্চা হয়নি টেলিপাড়ায়। এমনকি তাঁর পরস্পরকে মন দিয়েছেন, এমন রটনাও শোনা গিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে কী এমন ঘটল যে সোজা একে অপরকে আনফলো করলেন তাঁরা? এই নিয়ে মুখ খুলেছেন দিব্যজ্যোতি। নায়কের সাফাই, বন্ধুদের মধ্যে আড়ি-ভাব লেগেই থাকে! সংযোজন- ‘ঝামেলা যদি হয়েও থাকে তবে তা ঠিকও হয়ে যাবে’। সুতরাং ঝামেলা যে হয়েছে তা একপ্রকার মেনেই নিলেন অভিনেতা। টিভিনাইন বাংলাকে দিব্যজ্যোতি বলেন, ‘কেন আনফলো করলাম সে কারণ না হয় ব্যক্তিগতই থাক।’
সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হল, স্বস্তিকা-দিব্যজ্যোতি পরস্পরকে আনফলো করবার পর প্রথম যে টিআরপি রিপোর্ট সামনে এসেছে সেখানেই বেঙ্গল টপারের স্থান হাতছাড়া হয়েছে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র। ‘জগদ্ধাত্রী’ এক নম্বর স্থান দখল করেছে, দ্বিতীয় স্থান নবাগত ফুলকির সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে হয়েছে সূর্য-দীপাকে। নিন্দকদের দাবি ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ইউএসপি সূর্য-দীপার রসায়ন, সেটা নাকি আর আগের মতোন নেই। কেউ কেউ টেনে আনছেন মিঠাই প্রসঙ্গ। আদৃত-সৌমিতৃষার মনোমালিন্যের খবর চাউর হওয়ার পরই টিআরপি তালিকায় একটু একটু করে আধিপত্য হারায় মিঠাই। আতঙ্কিত সূর্য-দীপার ভক্তরা। তবে সূর্য কিন্তু মানতে না-রাজ তাঁদের ব্যক্তিগত সমস্যার প্রতিফলন টিআরপি তালিকায় ধরা পড়েছে। অভিনেতার সাফাই- ‘যদি সত্যিই এমনটা হত তাহলে দর্শকও তো মুখ ফিরিয়ে নিতেন পুরোপুরি। তা তো হয়নি। এ নিয়ে এর চেয়ে বেশি কথা না বলাই ভাল।’
দিব্যজ্যোতির সঙ্গে অফস্ক্রিনে জমজমাট বন্ধুত্ব ছিল স্বস্তিকার। মাস কয়েক আগেও একসঙ্গে জিম করতে দেখা যেত দুজনকে। ছুটির দিনে পুলের জলে গা ভিজিয়ে নিতেন তাঁরা। একসঙ্গে আড্ডা দিতেন চুটিয়ে। গোপনে প্রেম করছেন তাঁরা, এমন গুঞ্জনও শোনা গিয়েছিল। তাহলে হঠাৎ হলটা কী?
গত মাসে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বস্তিকা দিব্যজ্যোতির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে অকপটে মুখ খুলেছিলেন। তাঁর কথায়, সিরিয়াল শুরুর পর দিব্যজ্যোতির সঙ্গে খুব-বেশি কথা হত না তাঁর। কিন্তু দু-তিন মাসে সব বদলে যায়। পর্দার দীপার কথায়, ‘দু থেকে তিন মাস পর থেকে যখন ওর সঙ্গে আমার প্রচুর প্রচুর সিন আসতে থাকে, তখন ওর সঙ্গে আমার ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়ে যায়। আর চার মাসের মাথায় আমার সঙ্গে ওর তুতুকারি শুরু হয়। দিব্যর সঙ্গে আমার মেন্টালিটি ম্যাচ করে। আমি খুব বেছে বন্ধু বানাই। হঠাৎ করে কাউকে বন্ধু বানাতে পারি না। ওর সঙ্গে আমার খুব স্ট্রং বন্ধুত্ব। তাই হয়তো দর্শকের মনে হয় আমরা প্রেম করি। সেটা কিন্তু একদম নয়।’
গোটা বিষয় নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন স্বস্তিকা-দিব্যজ্যোতি জুটির ভক্তরা। সব ভুল বোঝাবুঝি কিংবা ঝগড়া মিটে যাক দুই বন্ধুর, এমনটাই প্রার্থনা সূর্য-দীপার ভক্তদের।