বচ্চন পরিবারের ভাঙনের খবর এখন টক অফ দ্য টাউন। শুধু তাই নয়, বলিউজের অন্দরেও গসিপের মূল কেন্দ্র হয়ে উঠেছে অভিষেক আর ঐশ্বর্যর ডিভোর্সের জল্পনা। অমিতাভদের বসত বাড়ি ছেড়ে ইতিমধ্যেই নাকি চলে গিয়েছেন ঐশ্বর্য। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন মেয়ে আরাধ্যাকেও। মা বৃন্দা রাই-এর সঙ্গে থাকছেন। তবে এসবের মাঝেই কবাডি ম্যাচ মিলিয়ে দিল ফের একবার পরিবারকে।
২০২৪ সালের ৬ জানুয়ারি অভিষেকের কবাডি দলের ম্যাচ দেখতে মাঠে হাজির হয়েছিলেন প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন আরাধ্যাকে। গোটা পরিবারকে একসঙ্গে বসেই খেলার মজা নিতে দেখা গেল। তবে আশ্চর্যের বিষয়, অভিষেকের পাশে বসেননি আরাধ্যা। এমনকী, বাবার পাশে মেয়েও নেই। গ্যালারির দর্শকাসনে প্রথমে বসেছেন অভিষেক, পাশে বাবা অমিতাভ। তার পাশে ঐশ্বর্য আর একদম শেষে আরাধ্যা।
ছবি দেখে অনেকেই আবার খুঁজতে বসে গিয়েছেন বিয়ের আংটি। যা অন্তত এই ছবিতে স্পষ্ট নয়। এর আগে খবর এসেছিল, অভিষেক আর ঐশ্বর্য দুজনেই নাকি খুলে ফেলেছেন আঙুল থেকে বিয়ের আংটিখানা। ও হ্যাঁ, এই ছবির আরেক আলোচিত বিষয় হল আরাধ্যার নতুন হেয়ারস্টাইল। অবশেষে দেখা গেল ঐশ্বর্য-কন্যার কপাল!
ছবি নিয়ে একাধি পোস্ট হয়েছে সোশ্যালে। তাতে পড়েছে নানা ধরনের মন্তব্য়। একজন লিখেছেন, ‘উফফফ বাবা অবশেষে কপাল দেখলাম আমি আরাধ্যার। এবার আমার জন্ম সার্থক’। আরেকজন লিখলেন, ‘ডিভোর্স হচ্ছে কি হচ্ছে না জানতে চাই। তবে অভিষেকের সাবধান হওয়ার সময় এসেছে। অমিতাভ কিন্তু এভাবে সব কিছুই মেয়েকে দিয়ে যাবে।’
তৃতীয়জনের মন্তব্য, ‘বলিউড তারকারা আজকে আংটি খুলে কালকে পরতে পারে ফের। অথবা ডিভোর্সের পরেও আংটি পরে ঘুরতে পারে। এদের কিছুই ঠিক নেই।’ চতুর্থজন লিখলেন, ‘আমাকে ওর ডান হাতে আরেকটু ভালো করে নজর দিতে দাও। ও কি এর আগে পরত সবসময়?’ এই কমেন্টের জবাবে একজন জবাব দিলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই! এমনকী সিনেমাতেও’।
বরাবরই বচ্চন পরিবারের ছেলে অভিষেকের সঙ্গে ঐশ্বর্যর বিয়ে ছিল চর্চায়। সলমন আর বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর, বলিউডে শক্ত জমি পেতে অমিতাভের ছেলেকে বিয়ে করেছেন ‘বুদ্ধিমান’ ঐশ্বর্য, দাবি করতেন নিন্দকরা।
রটেছিল অভিনেত্রী নাকি মাঙ্গলিক। তাই নাকি অভিষেককে বিয়ের আগে একটা গাছকে বিয়ে করেন। প্রথম কয়েক বছর এই গাছকে বিয়ে করা নিয়ে মুখ বন্ধ রেখেছিল বচ্চন পরিবার। পরে গুজব বলে হাওয়ায় উড়িয়ে দেয়।
বলে রাখা যা, ঐশ্বর্যর আগে করিশ্মা কাপুরের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল অভিষেকের। কিন্তু জয়ার নাকি পছন্দ ছিল না করিশ্মাকে। যদিও, শোনা যায় জয়ার সঙ্গে খুব একটা সদ্ভাব নেই এখন ঐশ্বর্যরও। জয়া আর ননদ শ্বেতার সঙ্গে দ্বন্দ্বই নাকি অভিনেত্রীর শ্বশুরবাড়ি ছাড়ার বড় কারণ।