দিদি নম্বর ওয়ানে এসেছিলেন ষাটোর্ধ্ব মহিলারা। জীবনের সিংহভাগ পেরিয়ে এসে শোনালেন জীবনের লড়াইয়ের গল্প। শত প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজও কীভাবে হাসিমুখে আছেন তার গোপন রহস্য ফাঁস করলেন।
দিদি নম্বর ওয়ানে দিদারা
এদিন রীনা রায় নামক একজন এসেছিলেন খেলতে। তিনি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কথায় কথায় জানান তাঁর দুই সন্তান ছিল, কিন্তু মেয়ে অনেক ছোটবেলায় গত হয়েছেন। মেয়েকে হারানোর পর তাঁরা স্বামী স্ত্রী দুজনেই ভেঙে পড়েন। স্বামী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরবর্তীকালে স্বামী মারা গেলে তিনি ছেলের কাছেই থাকতেন। একটা সময় ছেলে তাঁকে নিয়ে কলকাতা ফিরে আসেন। তখন তিনি আইসিইউতে। বর্তমানে তাঁর দুটো কিডনির মধ্যে দেড়খানা কিডনি নেই। তবুও তিনি হাসিমুখে জীবন কাটাচ্ছেন। এই বিষয়ে জানান, 'আমি এখন শ্রীকৃষ্ণের পথ অনুসরণ করছি। তাঁর থেকে বড় কোনও মোটিভেশনাল স্পিকার নেই। গীতা পড়ি। সকালে হাঁটতে যাই, লাফিং ক্লাসে যাই। আমি ভালো থাকি। আমি এখন ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা যাতে ভালো থাকে তাদের সেগুলো বোঝাই। উপদেশ দিই।'
আরও পড়ুন: সুযোগ পেয়েও ফিরিয়েছিলেন রং দে বসন্তীর অফার, পরিচালকের বিরুদ্ধে তোপ দেগে কী বললেন অভিষেক?
আরও পড়ুন: আদালতে জ্যাকলিন কী পরে আসবেন ঠিক করে দিতেন সুকেশ! প্রকাশ্যে অভিযুক্তের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট
অন্যদিকে আরেকজন এসেছিলেন, নাম শিখা মিত্র। তিনি সদ্যই মহামারীর সময় অবসর নিয়েছেন। কিন্তু বাড়ি বসে থাকতে চাননি। তাই ষাট বছরে এসে শুরু করেন জীবনের নতুন ইনিংস। শেখেন নাচ, র্যাম্পে হাঁটা। এখন তিনি শো করেন তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে।
প্রবীণা প্রতিযোগীদের কথা শুনে অনুপ্রাণিত হন অনেকেই। অনেকেই মন্তব্য করেছেন এই পোস্টে। এক ব্যক্তি লেখেন, 'কী যে ভালোলাগা! শিখাদি, আমিও আপনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানালাম।' আরেকজন লেখেন, 'সত্যি বলছি গীতা সবাই পড়ুন মন ভালো থাকবে, হরে কৃষ্ণ।'