হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। পিতৃপক্ষের পরিসমাপ্তিতে বাঙালির মন মজবে ‘মহালয়া’য়। এই বছর ‘মহালয়া’য় বাঙালি দর্শকদের জন্য থাকছে বিশেষপ্রাপ্তি, প্রথমবার ছোটপর্দায় দেবী দুর্গারূপে হাজির হচ্ছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। একান্ত সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীর কথায় উঠে এল দুর্গা হয়ে ওঠবার অভিজ্ঞতা থেকে ছোটবেলার পুজোর স্মৃতি। শুনলেন প্রিয়াঙ্কা মুখোপাধ্যায়।
প্রথমবার টেলিভিশের দুর্গা হিসাবে দর্শক তোমাকে দেখবে, এতদিন সময় নিলেন কেন?
হ্যাঁ, সময় তো একটু লাগলো! তবে ইংরাজিতে একটা কথা আছে না বেটার লেট দ্যান নেভার… সত্যি বলতে দর্শক আমাকে একদম ভিন্ন একটা অবতারে দেখবে। আমি এর আগে মঞ্চে বহুবার পারফর্ম করেছি দেবী শক্তিরূপে। তবে প্রথমবার ক্যামেরাবন্দি হয়েছে সবকিছু ছোটপর্দার জন্য। দুর্দান্ত একটা অভিজ্ঞতা। খুব যত্ন নিয়ে আমরা কাজটা করেছি।
‘দেবী দশমহাবিদ্যা’য় কী চমক থাকছে?
‘দেবী দশমহাবিদ্যা’য় থাকবে দেবী সতী এবং তাঁর দশ মহাবিদ্যা অবতারের কাহিনি। এই অনুষ্ঠানের অংশ হতে পেরে তাঁদের সবার গল্প নিয়ে আমি অনেককিছু জানতে পারলাম। পুরো টিম প্রচুর পরিশ্রম করেছে। কেশসজ্জা থেকে মেকআপ কিংবা কস্টিটিউম- সবাই নিজেদের মতো করে এই অনুষ্ঠানকে সফল করে তুলতে সাহায্য করেছে। কোরিওগ্রাফারারা প্রচুর পরিশ্রম করছে। আমার মেকআপ রুমে তো ২৫জন লোক থাকত! কেউ কপালে ত্রিনয়ণী আঁকছে, কেউ চুল সেট করছে! আমি চ্যানেল কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞ যে এই বছর আমাকে দুর্গা হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।
মেয়ে ঋষণা আর ছেলে অঙ্কণকে এই মহালয়া দেখাবেন? প্রোমো দেখে তাঁদের কী প্রতিক্রিয়া?
আজকের দিনের বাচ্চা তো ওরা, সব বিষয় নিয়েই ওদের অনেক মতামত। সবটা শুনেই চলতে হয়। আমার পরিবারে আমার মা সবচেয়ে বেশি উত্তেজিত আমাকে দেবী দুর্গা রূপে মহালয়ার ভোরে ছোট পর্দায় দেখতে। উনি আমার নাচ খুব পছন্দ করেন। আমার স্বামী (সঞ্জয়) উনিও এই ভিডিয়ো দেখতে চেয়েছেন। সেই সময় সঞ্জয় সিঙ্গাপুরেই থাকবে।
ট্রোলার সবসময়ই তৈরি থাকে বিদ্রুপ করবার জন্য, ‘দেবী দশমহাবিদ্যা’ও তার বাইরে নয়। সেই নিয়ে তোমার কী মত?
যাদের ইচ্ছা তাঁরা ট্রোল করবে। আমি এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাই না।
অপর দুই চ্যানেলে শুভশ্রী-সোনামণি দুর্গারূপে হাজির হবে, সেই প্রোমো কি দেখেছো?
না, আমার এখনও দেখবার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। তবে আমি নিশ্চিত শুভশ্রী আর সোনামণি দুজনেই দুর্দান্ত কাজ করেছে।

মহলয়া মানেই তো নস্টালজিয়া- আপনার ছেলেবেলায় মহালয়া কেমন ছিল?
কত স্মৃতি… আমার ঠাকুমা ভোর চারটের সময় রেডিও চালাতেন মহালয়ার দিন। আমরা সবাই বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে মহিষাসুরমর্দিনী শুনতাম ঘুম চোখে। ওটার রিপ্লেসমেন্ট নেই, ওই গলা শুনেই মনে হত এবার মা আসছেন। পুজো শুরু হত ওইদিন থেকেই।
এবার পুজোর তোমার প্ল্যানিং কী?
কলকাতা, মুম্বই, সিঙ্গাপুর- সব মিলিয়ে মিশিয়ে পুজোর প্ল্যান। এই বছর মুম্বইয়ে একটা পুজোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর আমি এবার, ওখানে যাব। কলকাতায় কয়েকটা অ্যাপিয়ারেন্স আছে। এইভাবেই কাটবে।

(আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর, রবিবার ভোরপাঁচটায় কালার্স বাংলা চ্যানেলে দেখা যাবে দেবী দশমহাবিদ্যা)।