তুফান ছবিতে ফারহান আখতারের অবাক করা ট্রান্সফরমেশন নজর এড়ায়নি কারুর। এবার ছবিতে নিজের তিনটি লুকের ছবির কোলাজ প্রকাশ্যে আনলেন অভিনেতা। আজিজ আলি হয়ে উঠতে রীতিমতো পায়ের ঘাম মাথায় ফেলেছেন ফারহান। এই ছবির জন্য ৬৯ কিলো থেকে ওজন বাড়িয়ে ৮৫ কেজিতে পৌঁছেছিলেন অভিনেতা। চরিত্র ও চিত্রনাট্যের স্বার্থে মোটা হওয়াটাই ছিল ফারহানের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
অভিনেতা ফারহানের কেরিয়ারের অন্যতম চর্চিত ছবি ‘ভাগ মিলখা ভাগ’। ২০১৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল মিলখা সিংয়ের বায়োপিক। আট বছর পর আরও একটি স্পোর্টস ড্রামা নিয়ে পর্দায় ফিরেছেন ফারহান, এবারও পরিচালকের আসনে রাকেশ ওম প্রকাশ মেহরা। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আমাজন প্রাইম ভিডিয়োতে গত সপ্তাহেই মুক্তি পেয়েছে ‘তুফান’।
ডোঙ্গরির এক অনাথ আজ্জু ভাই (আজিজ আলির) বক্সিং রিংয়ের চ্যাম্পিয়ন হয়ে ওঠার কাহিনি এই ছবি। জীবনের অসংখ্য ওঠা পড়ার মধ্যেও যে নিজের স্বপ্নকে ছোঁয়ার লক্ষ্য থেকে চোখ সরায়নি। অনন্যার (ম্রুনাল ঠাকুর) সঙ্গে দেখা হওয়ার পর তাঁর জীবন বদলাতে শুরু করে। বক্সিংয়ের মধ্যে প্রাণ খুঁজে পায় ছেলেটি। এমনই এক হার না মানা, লড়াকু বক্সারের গল্প ‘তুফান’। ছবিতে নিজের তিনটি লুকের ছবি শেয়ার করে ফারহান লেখেন- ‘অনেকগুলো শেপ আর সাইজ আজ্জু ওরফে তুফানের। কী দুর্দান্ত একটা যাত্রাপথ। ১৮ মাসের অক্লান্ত পরিশ্রম, ঘামের প্রতিটা কণা, পেশির প্রত্যেক ব্যাথা এবং আমার শরীরের প্রতি পাউন্ড ওজন বাড়া-কমাটা পুরোপুরি সার্থক’।
ফারহানের এই ছবির কমেন্ট বক্সে অভিষেক বচ্চন লেখেন- ‘দুর্দান্ত’। ফারহানের জিন্দেগি না মিলেগি দুবারা কো-স্টার হৃত্বিক তো হয়রান। তিনি কমেন্ট করে, ‘মানে ৬৯ কিলো থেকে সোজা ৮৫ কিলোয়- কী করে সম্ভব এটা, পাগলামি’। তবে বলিউডের এই প্রশংসা বাণীর মাঝেও নজর কাড়ল ফারহানের বা্ন্ধবী শিবানি দাণ্ডেকরের মন্তব্য। তিনি লেখেন- ‘আমি এই তিনটে শেপের মানুষকেই সমান ভালোবাসি’।
গত সপ্তাহে এক ভার্চুয়াল প্রেস মিটে কলকাতার সাংবাদিকদের ফারহান বলেন, 'ছবিতে একটা অংশ আছে, যেখানে আমাকে একদম আউট অফ শেপে দেখানো হয়েছে, ওটার জন্য আমাকে সত্যি বেগ পেতে হয়েছে। আমার মনে হয় সেটাই আমার শরীরের পক্ষে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। আমাদের প্রত্যেকের জীবনে কিছু মাইলস্টোন রয়েছে, আমার মনে এইসব ছবিগুলি আমাদের ফিট থাকবার অনুপ্রেরণা দেয়। নতুন নতুন বিষয়ে শেখবার, জানবার সুযোগ দেয়। তবে আমি অভিনয় করুন কিংবা না করুণ ফিট থাকাটা সকলের জন্য জরুরি। ফিট থাকবে আমি জীবনে খুশি থাকবেন, এবং আপনার আশপাশের মানুষের মধ্যে খুশি ছড়িয়ে দিতে পারবেন'।