বছরের পর বছর ধরে, অনেক অভিনেতা পর্দায় মহাত্মা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। নাসিরুদ্দিন শাহ থেকে দর্শন জারিওয়ালা পর্যন্ত এই তালিকায় রয়েছে একাধিক নাম। এর মধ্যে কিছু পারফরম্যান্সকে সম্মানিত করা হয়েছে এবং পুরস্কৃত করা হয়েছে। যদিও স্যার বেন কিংসলির ‘জাতির জনক’ হিসেবে অভিনয় সমস্ত পারফরম্যান্সকে ছাপিয়ে গিয়েছে।
যখন গান্ধীজির চরিত্রের জন্য শ্যুটিং করছিলেন বেন কিংসলি, সেই সময় তাঁর লুক দেখে শ্যাুটিং এলাকার আশেপাশের স্থানীয়রা রীতিমতো বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন। অনেকের মনে হয়েছিল তিনি প্রয়াত গান্ধীজির ভূত। জাতির জনকের ১৫৩তম জন্মবার্ষিকীতে, আসুন এই উদ্ভট, তবুও সত্য ঘটনার দিকে ফিরে দেখা যাক। আরও পড়ুন: Urfi Javed: স্কার্টের বদলে ঘড়ি ঝুলিয়ে সামনে এলেন উরফি! পোশাকে বোঝালেন সময়ের কত মূল্য
গান্ধী, রিচার্ড অ্যাটেনবরো পরিচালিত ছবি, ১৮৮২ সালে মুক্তি পেয়েছিল। ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন রোহিনী হাত্তাঙ্গাদি, রোশান শেঠ, অ্যালিক পদমসী এবং সইদ জাফরি। বাণিজ্যিকভাবে সফল, সমালোচকদের কাছে প্রশংসিত হয়েছিল এই ছবি। বিশ্বব্যাপী ১২৭ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে এই ছবি। স্যার বেন কিংসলে সেরা অভিনেতা সহ আটটি অস্কার জিতেছে। আরও পড়ুন: শ্যুটিং শেষ করলেন ‘চাকদা এক্সপ্রেস’-এর, ব্রিটেন থেকে ছবি শেয়ার করলেন অনুষ্কা
২০১২ সালে পুরনো এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক রিচার্ড অ্যাটেনবরো মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে বেনের শারীরিক সাদৃশ্য নিয়ে কথা বলেছিলেন। অভিনেতা বলেছিলেন, ‘শারীরিক সাদৃশ্য একটি পূর্বশর্ত ছিল।’ আরও যোগ করেন, ‘আমি বেন কিংসলেকে পাঁচ বছর মনে রেখেছিলাম, প্রথমবার যখন তাঁকে দেখেছিলাম। বেনের মতো কেউ আমার মন ছুঁতে পারেনি।’ ফাঁস করেন, দেশজুড়ে যখন তাঁরা শ্যুটিং করেছিলেন, সেই সময় শ্যুটিং দেখার জন্য স্থানীয়রা জড়ো হতেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই স্যার বেনকে দেখে ভয় পেয়েছিলেন, কারণ তাঁরা ভেবেছিলেন অভিনেতা গান্ধীজির ভূত। আরও পড়ুন: God Father Hindi Trailer: একফ্রেমে চিরঞ্জীবী-সলমন, অ্যাকশনে ভরপুর ‘গডফাদার’-এর ট্রেলার
গান্ধীজির চরিত্রে অভিনয় করার জন্য বেন কিংসলে গান্ধীর আচরণ এবং চালচলন অনুকরণ করতে শুধুমাত্র নিউজরিলের ফুটেজ দেখেননি, ওজন কমিয়েছেন এবং যোগ অনুশীলন করেছেন। এমনকি তিনি গান্ধীর মতো সুতো ঘোরাতেও শিখেছিলেন।
১৮৬৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর তাঁকে মহাত্মা গান্ধী উপাধি দিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব, অহিংস প্রতিবাদের নীতিকে সমর্থন করতেন এবং তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর জন্মবার্ষিকী ২ অক্টোবর- প্রতি বছর গান্ধী জয়ন্তী হিসাবে পালিত হয়।