সহ-অভিনেত্রীর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন অরুণাভ
দিদি নম্বর ১ -এর মঞ্চে আসবে কেউ আর তাঁর হাঁড়ির খবর ফাঁস হবে না? হুশ! তাই কখনও হয়? এদিন অন্য তিন তারকা জুটির সঙ্গে অরুণাভ দে এবং তাঁর মাও খেলতে আসেন দিদি নম্বর ১ -এ। আর সেখানেই সব হাঁড়ির খবর ফাঁস হয়ে যায়।
বর্তমানে অরুণাভকে ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’ -এ অন্যতম খলনায়কের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে। এখানে তিনি নায়ক শঙ্কর ঘোষ ওরফে রাহুল মজুমদারের ভাই ভাস্কর ঘোষের চরিত্রে অভিনয় করছেন। তাঁর কূট বুদ্ধি এবং নানা ষড়যন্ত্রের শিকার বারবার হতে হচ্ছে তাঁর পরিবারের লোককেই। সে এখন যেন তেন প্রকারে মেজদা আর মেজ বৌদি ওরফে এই ছবি নায়ক নায়িকাকে বাড়ি ছাড়া করে গোটা বাড়ি হাতিয়ে নিতে চায় মা বাবার থেকে। অল্প দিনেই তিনি খল নায়কের চরিত্রে সবার মন জয় করে নিয়েছেন।
এদিন মায়ের সঙ্গে দিদির মঞ্চে এসে পর্দার ভাস্কর জানান তিনি রান্না পারেন। কী রান্না জানেন? খিচুড়ি! অরুণাভর কথায়, 'অল্প একটু চাল, অল্প একটু ডাল আর একটু মাখন নিয়ে একসঙ্গে দিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করো খিচুড়ি রেডি।' এটা শুনে রচনা অবাক হয়ে বলেন, 'সকাল বিকেল সবসময় খিচুড়ি খেয়েই দিন কাটছে নাকি?' সেটা শুনে সকলেই হেসে ফেলেন। যদিও অভিনেতার মা তাঁর প্রশংসাই করেন। জানান তাঁর ছেলে আগের থেকে দায়িত্ববান হয়েছে। বদল এসেছে।
তবে কি এই বদল জীবনে নতুন মানুষ আসার জন্য? সেটা কিন্তু মোটেই স্বীকার করলেন না তিনি। রচনা যখন জিজ্ঞেস করেন যে অরুণাভ কবে সেটেল করবেন তিনি সাফ সাফ বলেন, 'এখনই না। এখন তো আমি সিঙ্গল।' সেটা শুনেই রচনা কপট রাগ দেখিয়ে বলেন, তাহলে যাঁর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় অরুণাভর ভরে ভরে ছবি ভিডিয়ো রয়েছে সে কে? উত্তরে অরুণাভ বলেন, 'সে কেবলই বন্ধু। ভালো বন্ধু।' যদিও তাঁর বন্ধুরা সেটা মোটেই মানতে নারাজ।
প্রসঙ্গত এই ধারাবাহিকে অরুণাভর বিপরীতে রুশা মুখোপাধ্যায়কে দেখা যাচ্ছে। তাঁরা শুটিংয়ের ফাঁকে প্রচুর রিল বানান। ছবিও তোলেন। দুজনের প্রোফাইল ভর্তি একে অন্যের ছবি। সেটা নিয়েই এদিন দিদি নম্বর ১ -এর মঞ্চে মশকরা চলে। যদিও অভিনেতা জানিয়ে দেন তাঁরা কেবলই বন্ধু, আর কিছু নয়।