‘জানে তু ইয়া জানে না’ ছবিটি দেখতে দেখতে ১৫ বছর পূর্ণ করে ফেলল। বন্ধুত্ব উদযাপনের ইমোশনাল রোলার কোস্টার বলুন কিংবা মজার পাওয়ার প্যাক এই সিনেমায় ভরপুর আছে। আর এই ছবির ১৫ বছর পূর্ণ হতেই আবেগে ভাসলেন জেনেলিয়া।
বলিউডের এক বিনোদন জগতে জেনেলিয়া পা রেখেছেন দীর্ঘদিন। তাঁর এই ২ দশকের লম্বা কেরিয়ারে সব থেকে জনপ্রিয় ছবি হয়ে থেকে গিয়েছে বোধহয় এই ছবিটিই। কিন্তু কেন দর্শকদের এত পছন্দ এই ছবিটিকে? কী জানালেন অভিনেত্রী? জেনেলিয়ার কথা অনুযায়ী, 'এই ছবির ক্যাজুয়ালনেস, সহজ সরল গল্প, ইমোশনাল টুইস্ট, এবং গান- সবটা মিলিয়েই দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে এই ছবি। আর তাঁদের এটি ভীষণই পছন্দ হয়েছে।'
ছবির স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এই ছবির ‘ম্যাও’ বলেন, 'সবাই চান যাতে তাঁর ছবিটি বাস্তবসম্মত হোক। কিন্তু কিছু ছবি, কিছু কানেকশন থাকে যার সঙ্গে মানুষ নিজেকে মেলাতে পারেন। ফিল করতে পারেন। আর জানে তু ইয়া জানে না ছবিটি অনেকের গল্প বলে। বহু যুবক যুবতী এই ঘটনা মধ্যে দিয়ে গেছে।'
তবে আপনি কি জানেন অদিতির চরিত্রে যতই জেনেলিয়া নজর কারুক ছবিতে তাঁকে কিন্তু এই কাজ পাওয়ার জন্য একাধিকবার স্ক্রিন টেস্ট দিতে হয়েছে। গোটা এক মাস থেকে রিডিং এবং একসঙ্গে ওঠাবসা চলেছে। তাঁদের মধ্যে অর্থাৎ এই ছবিতে যাঁদের বন্ধু দেখানো হয়েছে তাঁদের মধ্যে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া একটা বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে, তারপর সেটা ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে।
অন্যদিকে পর্দায় যতই অদিতি আর জয়ের বন্ধুত্ব থেকে প্রেম জমে ক্ষির হয়ে যাক না কেন আদতে কিন্তু ইমরান তাঁকে অন্য কথা বলেছিল। জেনেলিয়া ছাড়াও আরও আরও একটি মেয়েকে বাছা হয়েছিল এই চরিত্রের। ইমরান সেই প্রসঙ্গে জেনেলিয়াকে বলেছিল, 'আমার এখনও মনে আছে ইমরান আমায় বলেছিল ও সেই মেয়েটির সঙ্গে অনেক বেশি স্বচ্ছন্দ ছিল আমার থেকে। কিন্তু এরপর পর্দায় না দেখেছিলাম আমরা সেটা যদিও সম্পূর্ণ অন্য কথা বলেছিল।'
এই ছবি দিয়ে বন্ধুত্বের সূত্রপাত হলেও আজও জেনেলিয়া আর ইমরানের বন্ধুত্ব অটুট। শুধু তাই নয় এখন তাঁদের সন্তানরাও বন্ধু। জেনেলিয়ার কথায়, 'আমাদের সন্তানরা এখন একই স্কুলে পড়ে। তাই আমাদের মাঝে মধ্যেই স্কুলের ওখানেই দেখা হয়ে যায়।'