গুজরাটের আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে চলছে হাইভোল্টেজ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ। এদিন টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ফলে বর্তমানে ব্যাট করছে ভারতীয় দল। ধীরে ধীরে এই খেলা নিয়ে দর্শক এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে চাপ এবং উত্তেজনা দুই বাড়ছে। প্রায় বারো বছর পর আবারও বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানি ভারতের সামনে। প্রতিটা ম্যাচে ভালো ফল করার দরুন এবং লাগাতার জয়ের কারণে রোহিত শর্মার টিমকে নিয়ে সকলের প্রত্যাশা তুঙ্গে। এই দলেরই তারকা বোলার হলেন মহম্মদ শামি। তাঁর বোলিংয়ে মুগ্ধ গোটা দেশ। সেমি ফাইনালে তিনি সাতটি উইকেট নিয়ে তাক লাগিয়ে দেন। ছয়টা ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ২৩ উইকেট। তবে তাঁর স্ত্রী কিন্তু যেমন তাঁকে বিশ্বকাপের জন্য শুভেচ্ছা জানাননি তেমনই তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন তিনি বিশ্বকাপের ফাইনালও দেখবেন না।
বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখবেন না হাসিন?
সেমি ফাইনালে মাঠে গিয়েছিলেন মহম্মদ শামির স্ত্রী হাসিন জাহান। তবে ফাইনালের দিন যখন নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ভারতীয় দল এবং নিজেদের বেটার হাফদের উৎসাহ দিতে, গলা ফাটাতে হাজির হয়েছেন অনুষ্কা শর্মা, আথিয়া শেট্টিরা তখন কী বলছেন হাসিন জাহান?
হাসিন আগেই জানিয়েছিলেন তিনি ভারতীয় দলকে শুভেচ্ছা জানালেও শামিকে শুভেচ্ছা দেবেন না। তিনি চান ভারতীয় দল জিতুক কিন্তু শামিকে নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ। সেই জন্যই কি বিশ্বকাপের ফাইনাল থেকে মুখ ফেরালেন তিনি?
সকলেই যখন রবিবারের দুপুরে ভাত ঘুম ছেড়ে টিভির সামনে বসে তখন হাসিন জানালেন তিনি ফাইনাল ম্যাচ দেখবেন না। সংবাদ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'আমি টিভির দেখার সময় পাই না তেমন, আর ক্রিকেট নিয়েও এখন আর তেমন উৎসাহ নেই।' হাসিন না দেখলেও, বাবার জন্য নিশ্চয় এদিনের হাইভোল্টেজ ম্যাচ দেখবে ছোট্ট আয়রা? এই প্রশ্নেও তিনি জানান, 'ও টিভি খুললে কেবল কার্টুন দেখে। তাছাড়া নিজের পড়া, নাচ নিয়েই ব্যস্ত থাকে।' ফলে হাসিনের কথায় এটুকু স্পষ্ট যে তিনি বা তাঁর মেয়ে কেউই বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখবেন না।
প্রসঙ্গত শামি যখন নাইট রাইডার্সের হয় খেলতেন তখন তিনি কলকাতার সাউথ সিটি মলের পিছনের দিকে কাটজুনগরে একটি ফ্ল্যাট কেনেন। আইপিএলের সময়ই আলাপ হয় হাসিন জাহানের সঙ্গে। তিনি নাইট রাইডার্সের চিয়ার লিডার ছিলেন। আলাপ গড়ায় প্রেম এবং বিয়েতে। কিন্তু এ বিয়ে সুখকর হয়নি। ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ করেন হাসিন। তখন কলকাতার এই আবাস ছেড়ে চলে যান শামি এবং তাঁর পরিবার। তবে আজও এই ফ্ল্যাটেই থাকেন হাসিন এবং তাঁদের মেয়ে আয়রা।