Shruti-Swarnendu: পুজোর শেষেও ভরপুর মজা! নতুন বর স্বর্ণেন্দুকে ফেলে কোথায় গেলেন ‘পাখি’ শ্রুতি?

পুজোটা বর স্বর্ণেন্দুর সঙ্গেই কাটিয়েছেন। তবে পুজো মিটতে সিরিয়ালের পাখি বাস্তবেও উড়লেন আকাশে। কোথায় গেলেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস একাদশীতে?

বিয়ের পর প্রথম পুজো শ্রুতি আর স্বর্ণেন্দুর। 

বিয়ের পর এটাই প্রথম পুজো ছিল অভিনেত্রী শ্রুতি দাস ও পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের। শ্বশুরবাড়ির পুজোতে সামিল হয়েছিলেন তিনি। যদিও এর আগেও সমাদ্দার বাড়ির পুজোয় দেখা যেত তাঁকে। তবে এবার তিনি নতুন বউমা। শাঁখা-পলা পরে, সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে একেবারে গিন্নি হয়ে ছিলেন বোধন থেকে বিজয়া অবধি।

অষ্টমীর অঞ্জলি দেন শ্রুতি বিয়ের শাড়ি পরে। যা মন জিতে নেয় নেট-নাগরিকদের। কদিন আগে অভিনেত্রী আলিয়া ভাটও বিয়ের শাড়ি পরে নিতে গিয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কার। বিশেষ দিনে বলিউডের এই নায়িকার মতো বিয়ের শাড়ি হাতে তুলে নেন আমাদের শ্রুতিও। সঙ্গে ঠাকুর বরণও করলেন এই প্রথমবার। মা দুর্গার সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে শ্বশুরবাড়ির সকলের সঙ্গে খেললেন সিঁদুরও। সমাদ্দার বাড়ির পুজোতে এই কদিন দেখা গিয়েছিল শ্রুতির মা-বাবাকেও।

তবে পুজো মিটতেই অভিনেত্রী চলে গেলেন দেশের বাড়ি। তিনি কাটোয়ার মেয়ে। তাঁর মা-বাবা এখনও সেখানেই থাকেন। কাটোয়ায় এসে পুজোর জন্য বসা মেলায় নাগরদোলনা চড়তে দেখা গেল শ্রুতিকে। ভিডিয়ো পোস্ট করে লিখলেন, ‘যখন তুমি একাদশীতে দেশের বাড়ি পৌঁছও এভং বুঝতে পারো পুজো এখনও শেষ হয়নি’। তবে শ্রুতির পাশে স্বর্ণেন্দুর দেখা না পেয়ে বেশ হতাশ তাঁর ভক্তরা।

একেবারে ছিমছাম ভাবেই মেলায় ঘুরলেন রাঙা বউ-এর পাখি। চোখে চশমা. চুল বাংধা পনিটেলে করে। গলায় মঙ্গলসূত্র। জমিয়ে নাগরদোলা আর মজা নিতে দেখা গেল তাঁকে। 

টিআরপি তালিকায় শুরু থেকেই ভালো ফল করছে শ্রুতির ধারাবাহিক রাঙা বউ। জনপ্রিয়তার টক্করে প্রথম থেকেই বেশ পিছিয়ে ছিল পঞ্চমী। শেষমেশ মাসকয়েক চলার পরই তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন রাঙা বউ-এর নতুন টক্কর জেন ওয়াইয়ের ভালোবাসা নিয়ে বানানো লাভ বিয়ে আজকাল।

শ্রুতি আর স্বর্ণেন্দুর আলাপ হয়েছিল ত্রিনয়নী ধারাবাহিকের সেটে। পরিচালক স্বর্ণেন্দুকে মন দিয়ে ফেলেন শ্রুতি। তবে স্বর্ণেন্দুর মন জিততে অনেকটা সময় লেগে গিয়েছিল তাঁর। তবে শেষমেশ পূরণ হয় একসঙ্গে ঘর করার স্বপ্ন। গত জুলাই মাসে করে ফেলেন রেজিস্ট্রি বিয়েটা। তবে আইনি বিয়ে হলেও বাকি রয়েছে ধুমধাম করে সামাজিক অনুষ্ঠান। আগ্নিসাক্ষী রেখে বিয়ে করতে পারেন তাঁরা ২০২৫ সাল নাগাদ।