সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রানি মুখোপাধ্যায় জানালেন বলিপাড়ায় পা রাখবেন কি না তা নিয়ে এক সময় বেজায় দ্বন্দে ভুগেছিলেন তিনি। কারণ? সে জবাবও নিজেই দিয়েছেন তিনি। তারকা-অভিনেত্রীর কথায়, 'আমার উচ্চতা খুব বেশি নয়। গলার স্বর হিরোইন সুলভ নয়। এর উপর রয়েছে আমার ত্বকের রঙ। ফর্সা তো নয়ই, বলা যেতে পারে আমার গায়ের রং গমরঙা। তাই সবমিলিয়ে নিজের উপরই বেশ সন্দিহান ছিলাম আমি'।
ইন্ডিয়া টুডে.কম-কে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে 'বাবলি' জানান যে কোনওদিন নিজেই ভাবেননি যে একজন তারকা-অভিনেত্রী হয়ে উঠবেন তিনি। আরও ভালো করে বললে একজন সফল অভিনেত্রী হতে পারবেন কি না তা নিয়ে নিজের মনেই সন্দেহ ছিল তাঁর। সেকথা কমল হাসানকেও জানিয়েছিলেন তিনি। রানির মুখে সেসব শুনে তাঁর সেই দ্বিধা, দ্বন্দ মুহূর্তে দূর করে দিয়েছিলেন কিংবদন্তি তারকা-অভিনেতা। তথাকথিত 'নায়িকাসুলভ গুণ' না থাকলেও যে দুর্দান্ত অভিনেত্রী হয়ে ওঠার পাশাপাশি একজন তারকা হয়ে ওঠা যায় তাই ভাবতে শিখিয়েছিলেন তিনি রানিকে।
রানির কথায়, 'নিজেকে নিয়ে আমার এই চিন্তাধারা হওয়ার আরও একটি কারণ যাঁদের ছবি দেখে বড় হয়েছি সেইসব নায়িকাদের দিকে তাকালেই আমার কথা বুঝতে হয়ত আরও সুবিধে হবে। আমি যে সময়ের কথা বলছি তখন বলিউডে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রেখা, শ্রীদেবী, মাধুরী দীক্ষিত, জুহি চাওলারা। কী অসম্ভব সুন্দর, গ্ল্যামারাস ছিলেন তাঁরা। সিনেমার দেবীর মতো লাগত তাঁদের। সেই জায়গায় নিজেকে দেখাটা এককথায় অকল্পনীয় ছিল আমার কাছে!'
সামান্য থেমে রানি ফের বলে ওঠেন, 'আমি অভিনয় জগতের বেশ বড় বড় কয়েকজন কিংবদন্তির সঙ্গে নিজের মনের এই সন্দেহ,দ্বন্দ্বের কথা প্রকাশ করেছিলাম। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন কমল হাসান। তিনি আমাকে পরিষ্কার করে অল্প কথায় বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তোমার উচ্চতা কতটা, তুমি দেখতে কেমন সেসব দিয়ে কখনওই নিজের ক্ষমতা কিংবা সাফল্যকে মাপতে যেও না। যেতেও নেই। এই কথা শোনার পরেই জোর পেয়েছিলাম। ধীরে ধীরে তৎকালীন সময়ে অভিনেত্রীসুলভ গুণ বলতে যা যা বোঝানো হতো সেসব না থেকেও সফল হয়েছিল। তথাকতিত নায়িকার লুকস-এর ধারণাটাও ভেঙে দিতে পেরেছিলাম বলেই আমার বিশ্বাস!'
আগামী ১৯শে নভেম্বর মুক্তি পাচ্ছে ‘বান্টি অউর বাবলি ২’, এই ছবিতে রানি-সইফ ছাড়াও দেখা মিলবে নতুন প্রজন্মের দুই অভিনেতাকে। সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী ও শর্বরী রয়েছেন এই ছবির অপর জুটি হিসাবে।