এমনিতেই খুব বেশি জাঁকজমকে বিশ্বাসী নন অনির্বাণ ভট্টাচার্য ও তাঁর নববিবাহিতা স্ত্রী মধুরিমা, তার উপর আবার করোনা সতর্কতাবিধি। তাই বিয়ের পর রিসেপশনের আসরেও অতিথি সংখ্যা ছিল সীমিত। ১০০-১৫০ জনের উপস্থিতিতেই নতুন জীবনের শপথ নিলেন অনির্বাণ-মধুরিমা। বেশি সংখ্যক না হলেও তারকা সমাবেশ কম ছিল না এই বিয়ের অনুষ্ঠানে। সৃজিত-মিথিলা, অনুপম রায়, রুদ্রনীল ঘোষ, সোহিনী সরকার, কাঞ্চন মল্লিকরা।
এদিনের অনুষ্ঠানে কত্তা-গিন্নির সোয়্যাগ ছিল চোখে পড়ার মতো। এই মামলায় অনির্বাণকেও ছাপিয়ে গেলেন মধুরিমা। স্লেট রঙা শাড়ি আর জাঙ্ক জুয়েলারিতে সেজে- সানগ্লাস চোখে যেভাবেই এদিন পোজ দিতে গেল তাঁকে- তা সত্যি বাহবা কুড়োচ্ছে নেটদুনিয়ায়। একাংশ যদিও কটাক্ষের সুরে বলেছে- ‘শাখাঁ-সিঁদুর ছাড়া আবার নতুন বউয়ের এ কী সাজ’। তাতে কুছ পরোয়া নেই মিয়া-বিবির।
এদিনের অনুষ্ঠানের সবচেয়ে বড় হাইলাইট ছিল সদ্যবিবাহিত অনির্বাণের সঙ্গে সৃজিত ও কাঞ্চনের নাচ। বলা যায় এইভাবে নেচেই বোধহয় বিবাহিতদের ক্লাবে খোকাকে স্বাগত জানালেন সৃজিত। ঠিক এক বছর আগে একইভাবে সই-সাবুদ করে আইনি বিয়ে সেরে ব্যাচেলার ক্লাব থেকে ‘ম্যারেড মেন’-দের দলে যোগ দিয়েছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়।
আশ্চর্যজনকভাবে এই ভিডিয়ো মুঠোফোনে বন্দি করেছেন রুদ্রনীল ঘোষ। যিনি এখনও ব্যাচেলারদের ক্লাব ছেড়ে বার হননি। তবে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই বিয়ের পর্ব সেরে ফেলতে পারেন রুদ্রনীলও।
অনির্বাণ-মধুরিমার রিসেপশনে সৃজিত-মিথিলার পোশাকে চোখে পড়ল রঙ মিলান্তি। এদিন কালো পাঞ্জাবিতে দেখা গেল দ্বিতীয় পুরুষ' পরিচালককে, সৃজিত ঘরনি সেজেছিলেন কালো জামদানিতে। খোকা ও তাঁর মনের মানুষের সঙ্গে সেলফি তুলে সৃজিত টুইটারের দেওয়ালে লেখেন- ‘পতি, পত্নী অউর ওহস’। স্বামী-্স্ত্রীর মাঝে এই ওহ আসলে কারা সেই উত্তরটা বোধহয় যাঁরা অনির্বাণ-সৃজিতের ব্রোম্যান্স সম্পর্কে পরিচিত তাঁদের কাছে নতুন কিছু নয়। নবদম্পতিতে শুভেচ্ছা জানান মিথিলাও।
খোকার মালিক বদলে গিয়েছে তা আগেই বলে দিয়েছেন নেট নাগরিকরা। সেই বক্তব্যে সিলমোহরও দিয়েছেন সৃজিত। মেন্টর সৃজিত, মিথিলা সহ সকলের আর্শীবাদ,শুভেচ্ছা আর শুভকামনায় ভরে উঠেছিল এই ঘরোয়া রিসেপশনের আসর।