বিদ্যা বালানের ফিল্মি কেরিয়ারের অন্যতম মাইল্টোন ‘দ্য ডার্টি পিকচার’।২০১১ সাল মুক্তি পেয়েছিল সিল্ক স্মিতার বায়োপিক। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির বি-গ্রেড ছবির এই নায়িকার আধ-খাওয়া আপেল একটা সময় বিক্রি হত লাখ টাকায়। ছবিতে শুধু সিল্কের উত্তেজক দৃশ্য দেখতে ছুটে যেত তাঁর হাজারো পুরুষ ভক্ত। আরও পড়ুন-মুটকি কটাক্ষ,জুটেছিল সবচেয়ে খারাপ পোশাকের অ্য়াওয়ার্ড! নিজেকে ঘরবন্দি করেন বিদ্যা
পরিচারিকা থেকে বোল্ড ছবির নায়িকা হয়ে ওঠা সিল্কের ব্যক্তিগত জীবন ছিল নিঃসঙ্গতায় ভরপুর। পুলিশের খাতা বলছে, আত্মহত্যা করেছিলেন সিল্ক, যদিও তাঁকে খুন করা হয়েছিল এমন অভিযোগও রয়েছে। পর্দার সিল্ক হয়ে উঠতে কম কাঠখড় পোড়াননি বিদ্যা। কিন্তু জানেন কি তাঁকে এই চরিত্রে না অভিনয় করার উপদেশ দিয়েছিলেন অনেকেই। গোয়ায় অনুষ্ঠিত ৫৪তম আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অফ ইন্ডিয়ায় সেই নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী।
বিদ্যা বলেন, ‘আমি খুব উত্তেজিত ছিলাম সিল্কের চরিত্রে অভিনয় করব বলে। কিন্তু প্রথমবার যখন মিলন লুথরিয়া আমার কাছে এই অফারটা নিয়ে আসেন, আমি বলেছিলাম- আপনি ভুল দরজায় কড়া নাড়ছেন না তো? কারণ আমি দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারি না আমাকে কেউ এই চরিত্রটা অফার করবে। সবসময়ই চাইতাম এমন কিছু করতে যা লোকে ভাববে আমি পারব না, কিন্তু আমি জানতাম আমি পারব। আমি দারুণ এক্সাইটেড ছিলাম যখন আমার কাছে সুযোগ এল এবং আমি হ্যাঁ বলেদি’।
এই ছবি থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য বিদ্য অনেক উপদেশ পান। অভিনেত্রী বলেন, ‘অনেকেই বলছিল, তুমি নিশ্চিতভাবে এই ছবিটা করতে চাও? এটা তোমার কেরিয়ার ধ্বংস করে দেবে। তোমাকে দর্শক ভালো-মেয়ে হিসাবেই পর্দায় দেখে এসেছে। আমি পালটা বলেছিলাম, এটা আবার কী কথা, আমি তো মেরেকেটে ৫-৬ ছবি করেছি। এমন নয়, ইন্ডাস্ট্রিতে ৩০ বছর পার করে ফেলেছি। আমি অভিনেত্রী, আমার কাজ অন্যরকম কিছু করা’।
তবে ডার্টি পিকচার তাঁর কেরিয়ারের দশা ও দিশা বদলে গিয়েছিল অকপটে মেনে নেন বিদ্যা। এই ছবিতে বিদ্যার পাশে দেখা মিলেছিল নাসিরুদ্দিন শাহ, ইমরান হাশমি, তুষার কাপুরদের।
গত কয়েক বছর ধরে বক্স অফিসে সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না বিদ্যার। তবে বলিউডের নারীকেন্দ্রিক ছবির পোস্টার গার্ল তিনি। বক্স অফিসে বিদ্যার শেষ রিলিজ ছিল নিয়াত। অনু মেনন পরিচালিত এই ছবি মুক্তি পায় জুলাই মাসে। যদিও বিদ্যার নিয়াত পুরোপুরিভাবে দাগ কাটতে ব্যর্থ হয়েছে।