সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের আরোগ্য কামনা করে গত ২৬ দিন ধরে প্রার্থনা করছেন তাঁর অনুরাগীরা। অন্যদিকে ১৫ জন সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল সময়ের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বর্ষীয়ান অভিনেতাকে সুস্থ করে তুলতে। তাবে তাঁদের আশঙ্ক্ষা যত বেশি সময় সৌমিত্রবাবু হাসপাতালে থাকবেন ততই তাঁর পুরোপুরি সেরে ওঠবার সম্ভবানা কমে আসবে।
বৃহস্পতিবার সৌমিত্রর শারীরিক পরিস্থিতির সামন্য উন্নতি হয়েছে, তবে উনি এখনও সঙ্কটজনক। অভিনেতার হার্ট সঠিকভাবে কাজ করছে, কিডনি দুটি দিন কয়েক আগে একেবারে বিকল হলেও ডায়ালিসিসের পর ধীরে ধীরে রেচন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে। অ্যান্টি-বায়োটিকগুলি শরীরে সঠিকভাবে কাজ করছে, জানালেন চিকিত্সকরা। সেই কারণে শুক্রবার তৃতীয়বার ডায়ালিসেসের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়নি। শনিবার নেফ্রোলজিস্টদের বোর্ড মিলিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ফের ডায়ালিসিস করা হবে কিনা।
শুক্রবার গভীর রাতে সংবাদমাধ্যমকে চিকিত্সক অরিন্দম কর জানান,‘হাসপাতালের আইসিইউতে দীর্ঘদিন থাকা এবং চিকিত্সাজনিত হস্তক্ষেপ ওঁনার শরীরের উপর একটা কঠিন প্রতিক্রিয়া তৈরি করছে। সবরকম চেষ্টা সত্ত্বেও প্রত্যেকটা চলে যাওয়া দিনের সঙ্গে ওঁনার সুস্থ হয়ে উঠবার চান্স কমে যাচ্ছে। আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি। দেখা যাক’। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের চিকিত্সার দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডঃ অরিন্দম কর।
৮৫ বছর বয়সী এই অভিনেতা গত ৬ অক্টোবর থেকে হাসপাতালে ভর্তি। করোনা পজিটিভ হওয়ার পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে তিনদিন পর তাঁকে আইটিইউতে দেওয়া হয়। গত সোমবার থেকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রয়েছেন সৌমিত্রবাবু।
শনিবার থেকে আমরা নতুন স্ট্র্যাটেজি তৈরি করে ওঁনার স্নায়বিক সমস্যার উন্নতি ঘটানোর চেষ্টা করব। এনসেফ্যালোপ্যাথির সমস্যা কাটানোর জন্য আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি', যোগ করেন অরিন্দম কর।