অফিস পাড়ায় আর পাওয়া যাবে না নন্দিনী দিদিকে! বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তাঁর ভাতের হোটেল, এই জল্পনা আগেই উড়িয়েছেন স্মার্ট দিদি। তবে শনিবার ইনস্টাগ্রাম লাইভে এসে বড়সড় আপটেড দিলেন নন্দিনী। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে গত কয়েক মাস ধরেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে নন্দিনী ওরফে মমতা গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতার অফিসপাড়া, ডালহৌসি চত্বরে পাইস হোটেল চালান এই সুন্দরী। কিন্তু শনি-রবি ও সোমবার ঝাঁপ বন্ধ এই পাইস হোটেলের। নিজেই সেই আপটেড দিলেন নন্দিনী।
নন্দিনী জানান, শনিবার তাঁর দোকান বন্ধ। রবিবার তো এমনিই ছুটির দিন, অন্যদিকে সোমবার গান্ধী জয়ন্তী, সেই কারণে ওইদিনেও দোকান বন্ধ রাখবেন তিনি। তিনদিনের ছুটি, দোকান খুলবে সেই মঙ্গলবার। কদিন আগেই নন্দিনী দিদি জানিয়েছিলেন প্রচণ্ড অসুস্থ তিনি। এদিনও তাঁকে যথেষ্ট বিধ্বস্ত লাগল। সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত তিনি। এদিন নিজের ফলোয়ারদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দিলেন নন্দিনী। আগামি ২ দিন নিয়মিত লাইভে আসবেন তিনি, কথা দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ঘরে বসে বোর হচ্ছিলাম, ভাবলাম আপনাদের সঙ্গে একটু আড্ডা দিই। আজকাল কথা বলার মানুষ বড্ড কম।’
কালো রঙা টি-শার্ট পরে লাইভে পাওয়া গেল তাঁকে। পুজোতে কোনও প্ল্যান নেই একথা বলে নন্দিনী জানান, তাঁর একটা ওপেনিং রয়েছে, 'সেটা বাদে কোনও প্ল্যানিং নেই আপতত, বাকি দেখা যাক'। এদিন অনেকেই নন্দিনীর কাছে তাঁর বাড়ির ঠিকানা জানতে চান, তাঁদের উদ্দেশে বলেন- ‘না, বাড়িটা কোথায় ওটা বলা যাবে না’।
এদিন অনুরাগীদের ‘আই লাভ ইউ’ মেসেজের জবাবও দেন তিনি। বলেন- ‘আমি আজ যেখানে আছি, যা কিছু করেছি সবটাই তোমাদের ভালোবাসার জন্য। সেই জন্য আমি তোমাদের কাছে কৃতজ্ঞ’। এদিন এক নেটিজেন নন্দিনীর কাছে কাজ চেয়ে বসে। তাঁকেও হতাশ করলেন না নন্দিনী। বললেন, ‘আমি স্বপ্ন দেখি যারা কাজ করতে চায়, তাঁদের স্বপ্নকে যেন আমি সাপোর্ট করতে পারি। আর যদি আপনার স্বপ্ন হয় নন্দিনী দিদির হোটেলে কাজ করার, সেটাকেও আমি সমর্থন করব। কোনও সমস্যা নেই, চলে এসো আমার হোটেলে কাজ করতে’।
এদিন ট্রোলারদেরও জবাব দিলেন নন্দিনী। কেন নন্দিনী দিদিকে নিয়ে এত বাড়াবাড়ি? কটাক্ষ শুনেই তিনি বলেন, 'হ্যাঁ, অনেক এমন দোকান আছে, যেখানে আমার থেকে কম বয়সী, আমার থেকে স্মার্ট এবং আমার থেকে ট্যালেন্টেড মেয়েরা করে খাচ্ছে। এটা আমি মন থেকে বিশ্বাস করি। আমি গুজরাতে থাকাকালীন দেখেছি একটা মেয়ে কত স্ট্রাগল করে নিজের গোটা পরিবারের হাল ধরেছিল। মেয়েটি ধোকলা বিক্রি করে নিজের পরিবারের প্রতিপালন করত। আমি জানি সেটা। ঘরে বসে মন্তব্য না করে এই ইউটিউব ভাইগুলোর মতো একটু লোকজনকে খুঁজে বার করো না। আমাকে সম্মান দিতে না পারলেও অসুবিধা নেই। ঘর থেকে বার হয়ে আরেকটা বোনকে বা দিদিকে খুঁজে বার করো দেখবে সেলফ স্ট্যাটিসফ্যাকশন লাগবে'।