বাংলা ছবির জন্য বছরটা মন্দ কাটেনি। নানা স্বাদের সিনেমা নিয়ে যেমন পরীক্ষানিরীক্ষা করেছে বলিউড, তেমনই ফলও পেয়েছে হাতেনাতে। দর্শকদের মন জয় করে বক্স অফিসে সাফল্য এসেছে।
1/8 করোনার কাঁটা পেরিয়ে ২০২২ সালে বেশ কিছু বাংলা সিনেমা মুক্তি পেয়েছে বক্সঅফিসে। বলা চলে বাংলার মানুষকে এবার হলমুখী করেছে টলিউডই। বলিউড যেখানে হিটের খোঁজে মাথা ঠুকছে, সেখানে টলিউড পেয়েছে একের পর এক হিট। এমন সিনেমা যা হল থেকে বেরলেও রেশ রেখে গেছে মনে দীর্ঘসময়।
2/8 বড় পরদায় শ্রীমতী-র গল্প নিয়ে এসেছিলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। হল কম পাওয়া নিয়ে একটা বিতর্কও উঠেছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ভক্তদের কাছে হলে গিয়ে ছবি দেখার আর্জি রেখেছিলেন অভিনেত্রী। আর সেই ইচ্ছেকে সম্মান দিয়ে হাজির হয়েছিলেন হাজার হাজার দর্শক। এমনকী, সপ্তাহের মাঝে দুপুরের শো-ও হাউজফুল হয়েছিল। এক সাধারণ গৃহবধূর গল্পই অসাধারণ হয়ে উঠেছিল পরিচালক অর্জুন দত্ত-র হাতের ছোঁয়ায়।
3/8 রিপোর্ট অনুসারে করোনার পর দুই প্রয়াত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর গল্প হলে গিয়েছিল রেকর্ড সংখ্যাক দর্শক। বেলা শুরু-র গল্প আরও একবার মন ভরিয়েছে বাঙালি দর্শকের। রিপোর্ট অনুসারে এই ছবির আয় ছিল বক্স অফিসে ৪.৮ কোটি।
4/8 অভিনেতা ও পরিচালক হিসেবে নিজেকে বারবার সেরা প্রমাণ করেছে অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তাঁর ২০২২ সালে সিনেমা হলে আসা হরর কমেডি বল্লভপুরের রূপকথা শুধু যে বানিজ্যিক সাফল্য পেয়েছিল তা নয়, মন জয় করেছিল চলচ্চিত্র সমালোচকদেরও। মুখ্য চরিত্রে ছিলেন সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সত্যম ভট্টাচার্য। খবর বক্স অফিসে ৪ কোটির কাছাকাছি ব্যবসা করেছে এটি।
5/8 দেব-প্রসেনজিতের একসঙ্গে কাজ। তাই কাছের মানুষ নিয়ে মাতামাতিও ছিল দেখার মতো। দেবের প্রযোজনায় এই সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল প্রসেনজিতের জন্মদিনে। সমালোচকদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিললেও হলে লোক হয়েছিল ভালোই। রিপোর্ট অনুসারে, এই ছবির বক্স ্ফিস কালেকশন ৮ কোটি।
6/8 ২০২২ সালের সবচেয়ে আলোচিত বাংলা ছবির মধ্যে অন্যতম অনীক দত্তের অপরাজিত। যাতে মুখ্য চরিত্রে ছিলেন জিতু কমল। এক ঝলকে জিতুকে দেখলে যে কেউ সত্যজিৎ বলেই ভুল করবে। ছবিতে ছিলেন সায়নী ঘোষও। এই ছবির আয় ২.৯৪ কোটি।
7/8 ছবিটি ৩০ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়, পুজোতে। ধ্রুব ব্যানার্জি পরিচালিত এই ছবিতে অভিনয় করেছেন আবির চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন চক্রবর্তী, ঈশা সাহা, প্রমুখকে। এই ছবির ব্যবসার খতিয়ান আনুমানিক ৯.৮ কোটি টাকা।
8/8 কিছু সিনেমা থাকে যার বক্স অফিস সাফল্যকে ছাপিয়ে যায় দর্শকদের ভালোবাসা। তাই হয়েছিল দোস্তজীর ক্ষেত্রে। প্রসূণ চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত ছবিটি মন জয় করেছে লাখের। পৃথিবীর ২৬টি দেশ ঘুরে ৪টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতে ছবিটা অল্প সময়ের জন্য হলেও এসেছিল বাংলার প্রেক্ষাগৃহে। ছবির গল্প বাবরি মসদিজ ধ্বংস ও মুম্বই বিস্ফোরণের পরবর্তী সময়ের। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন এই ছবির নিবেদনের দায়িত্বে।