বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > 'আমাকে নিয়ে আপনি এত অবশেসড কেন?' কঙ্গনাকে বিঁধে টুইট দিলজিৎ

'আমাকে নিয়ে আপনি এত অবশেসড কেন?' কঙ্গনাকে বিঁধে টুইট দিলজিৎ

কঙ্গনা বনাম দিলজিত্ বাকযুদ্ধ জারি রয়েছে

টুইটারে থামছে না কঙ্গনা বনাম দিলজিৎ বাকযুদ্ধ। বুধবার দিনভর একে অপরকে বিঁধে টুইট করলেন দুই তারকা। 

কঙ্গনা রানাওয়াত বনাম দিলজিৎ দোসাঞ্জের বাকযুদ্ধ কিছুতেই থামছে না। বুধবার ফের একবার টুইটার সরগরম হয়ে উঠল দু'জনে ‘তু তু-মেয় মেয়’ নিয়ে। কৃষক প্রতিবাদের সপক্ষে সুর চড়িয়ে দিলজিৎ ‘গায়েব’ হয়ে গেছে- বুধবার এমন মন্তব্য করেন কঙ্গনা। কেন্দ্রের আনা নয়া কৃষিবিলের বিরোধিতা করে পথে নেমেছে হাজারো কৃষক। আন্দোলনরত কৃষকদের শুরু থেকেই প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছেন দিলজিৎ, অন্যদিকে টুইটারে কেন্দ্র সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলনের সমর্থনে মুখ খোলা সেলেবদের তুলোধোনা করেছেন কঙ্গনা। ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ কৃষকদের ভুল পথে চালনা করে ফায়দা তোলবার চেষ্টায় রয়েছে দাবি অভিনেত্রীর।

কঙ্গনা এদিন একাধিক টুইটে দিলজিৎ-এর উদ্দেশে লেখেন- ‘দিলজিৎজি আমি খুব সহজভাবে জানতে চাই আপনার ঠিক কোন বিষয়টা পছন্দ নয় কৃষিবিল ২০২০-এর? উদাহরণ হিসাবে জানাই আমার যেমন এই বিষয়টা পছন্দ যে এখন থেকে কৃষকরা দেশের যে কোনও প্রান্তে নিজেদের দ্রব্য বিক্রি করতে পারবে,ঠিক যেমনভাবে আপনি দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আমার এই বিষয়টাও বেশ ভালো লেগেছে যে তাঁরা মধ্যস্থতাকারীকে এড়িয়ে যেতে পারবে এখন থেকে এবং সরাসরি উপভোক্তা কিংবা উদ্যোগপতিদের কাছেও নিজেদের প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবে। আমার মনে হয় এটা একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ যা কেন্দ্র সরকার নিয়েছে। এটা আমাদের দেশের কৃষকদের দুরাবস্থা পালটে দেবে, আপনি কেন তাহলে আন্দোলনে প্ররোচনা দিচ্ছেন? দয়া করে আপনার দৃষ্টিভঙ্গিটা আমাকে বুঝিয়ে দিন’। 

কঙ্গনার এই প্রশ্নের পালটা জবাবে দিলজিত্ লেখেন, ‘আমার মনে হয় না আপনাকে আমার জবাব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে…সব বিষয়ে নিজেকে হোতা প্রমাণ করা বন্ধ করুন। দারুণ ব্যাপার….মনে হচ্ছে আমাকে নিয়ে আপনি অবসেশনে ভুগছেন, তাই এখন কাজ করুন আপনি হাতে একটু সময় নিয়ে এটা শুনুন..’। দিলজিৎ একটি সংবাদের লিঙ্ক শেয়ার করেন যদিও সেটি পঞ্জাবিতে।

অন্যদিকে কৃষকদের তাতিতে দিয়ে দিলজিত্ গায়েব হয়ে গিয়েছেন- কঙ্গনার এই কটাক্ষেরও জবাব দিয়েছেন পঞ্জাবি তারকা। উড়তা পঞ্জাবের সঙ্গে বলিউডে পা রাখা দিলজিত্ লেখেন- ভুলেও ভাববেন না আমি গায়েব হয়েছি। ওঁনাকে কে অধিকার দিয়েছে এটা ঠিক করবার যে কে দেশপ্রেমী আর কে দেশদ্রোহী? কে বানালো ওঁনাকে সর্বময়কর্তা? একটু লজ্জা থাকা উচিত কৃষকদের পাশে দেশ-বিরোধী তকমা সেঁটে দেওয়ার আগে'। 

গত ২৭ নভেম্বর এক শিখ মহিলাকে শাহিনবাগের আন্দোলনের ‘দাদি’ হিসেবে টুইটারে উল্লেখ করেছিলেন কঙ্গনা। দাবি করেছিলেন, ১০০ টাকার জন্য শাহিনবাগের ‘দাদি’ কৃষক বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে কঙ্গনা সেই টুইট ডিলিট করেন। সেই টুইট নিয়ে শুরু দিলজিত্-কঙ্গনার টুইট যুদ্ধ।

কঙ্গনা যে মহিলার ছবি শেয়ার করেছিলেন পঞ্জাবের সেই কৃষক মহিলার নাম মহিন্দর কৌরজি। গত ৩রা ডিসেম্বর শিখ মহিলার একটি সাক্ষাত্কার টুইটারে শেয়ার করে দিলজিত্ লেখেন, ওই শিখ মহিলা মহিন্দর কৌরের ভিডিয়ো শেয়ার করে দিলজিৎ লেখেন, ‘সম্মানীয় মহিন্দর কৌরজি। কঙ্গনা রানাওয়াত এই প্রমাণ দেখে নিন। কারোর অন্ধ হওয়া উচিত নয়। উনি যা খুশি বলতে থাকেন'। এরপর একের পর এক টুইটে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন দুজনে। এমনকি দিলজিৎ-কে সরাসরি করণ জোহরের ‘পোষ্য’ বলে কটাক্ষ করেন কঙ্গনা।

বন্ধ করুন