একদিকে জীবনযাত্রার নানা সমস্যা, মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাবার, অতিমাত্রায় কমপিউটার এবং ফোনের ব্যবহারের মতো কারণে বিশ্রামের অভাবের মতো অভ্যাসের ফলে বাড়ছে ইরেকটাইল ডিসফাংশনের মতো সমস্যা। আগামী দিনে পুরুষের বন্ধ্যত্বের বড় কারণ হয়ে উঠতে চলেছে এই সমস্যা। এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারই মধ্যে পুরুষদের মধ্যে বাড়ছে প্রস্টেট ক্যানসারের সংখ্যাও। আর এই দুইয়ের মধ্যে কোনও সম্পর্ক আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন চিকিৎসকরা। কী বলছেতন তাঁরা?
পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে পুরুষদের মধ্যে যে ক্যানসারগুলি সবচেয়ে বেশি ঘটে, তার মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্রস্টেট ক্যানসার। সারা পৃথিবীর পুরুষের মধ্যে এটি রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। আর লিঙ্গ নিরপেক্ষ ভাবে সব ধরনের ক্যানসার মিলিয়ে এটি রয়েছে চার নম্বর স্থানে। এবং এটির সংক্রমণের হার ক্রমশ বাড়ছে।
সম্প্রতি এই ক্যানসারের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল চিকিৎসক ক্ষীতিজ রহুবংশীকে। ক্যানসার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানিয়েছেন, ভারতে পুরুষদের মধ্যে প্রস্টেট ক্যানসারের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে। এটি প্রথমে প্রস্টেট গ্ল্যান্ডে হয়। তার পরে ওই এলাকার অন্য অঙ্গগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে পুরুষের যৌনাঙ্গে প্রভাব পড়ে।
অন্য দিকে ভারতে এই মুহূর্তে ইরেকটাইল ডিসফাংশনের পরিমাণও বাড়ছে। কিন্তু এই দুইয়ের মধ্যে কি সম্পর্ক আছে? চিকিৎসক বলছেন, প্রস্টেট ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণ হল ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা ইডি। যেহেতু ইরেকটাইল ডিসফাংশনে অনেকেই ভোগেন, তাই এখন আর এটিকে গোড়ার দিকে অনেকেই পাত্তা দেন না। ফলে যত ক্ষণে বিষয়টি নজরে আসে, তত ক্ষণে সমস্যা অনেক দূর ছড়িয়ে যায়।
চিকিৎসকের মতে, ইরেকটাইল ডিসফাংশনে ভুগলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ প্রস্টেট ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণই এটি। কিন্তু এর উলটোটিও কি হতে পারে? অর্থাৎ ইরেকটাইল ডিসফাংশন থেকে কি প্রস্টেট ক্যানসার হতে পারে? এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই সমস্যা দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার উপরে জোর দিচ্ছেন তাঁরা।