কোয়েল বিশ্বাস
বাদাম পুষ্টিগুনে ভরপুর। সব বাদামেই রয়েছে প্রচুর পরিমানে পুষ্টিগুণ। আখরোট ও কাজুবাদামও এর ব্যতিক্রম নয়। অনেকেই ওজন বেড়ে যাবার ভয়ে বাদাম খান না। কিন্তু এই ধারণা সঠিক নয়। বাদামে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং প্রোটিন, যা ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি।
কিন্তু কাজু আর আখরোটের মতো বাদামের মধ্যে যদি একটি খেতে হয়, তাহলে কোনটি খাবেন?
আখরোট: এই বাদামে রয়েছে ১৮৫ ক্যালোরি শক্তি। যা কাজুবাদামেরে থেকে বেশি। এতে ফ্যাটের পরিমানও বেশি। প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে এতে, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এর মধ্যে আরও রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরির বৈশিষ্ট্য।এটির ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা নিয়মিত ৩০ গ্রাম আখরোট খান, তাঁদের ওজন দ্রুত কমে।
কাজুবাদাম: এটি সত্যি কাজুবাদাম খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। তবে সঠিক পরিমানে খেলে সেই ভয় থাকে না। শীতকালে কাজুবাদাম খেলে তা শরীর গরম রাখে। বিভিন্ন রকমের খাবারের সঙ্গে কাজু দিয়ে খেতে পারেন।
এই বাদামের উপকারিতা গুলি দেখে নেওয়া যাক।
রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ: গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কাজুবাদামে ওলিসিক নামে এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা মানব দেহে শর্করা পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। একই সঙ্গে শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। তাই বাদাম খাওয়া রোজের অভ্যাস করে নিন।
ত্বকের যত্নে: কাজুবাদাম ত্বকের জন্য আশ্চর্য রূপে কাজ করে। কাজুবাদামে সেলেনিয়াম, দস্তা, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন এবং ফসফরাস থাকে। কাজুবাদামে উপস্থিত সেলেনিয়াম ত্বকের পাশাপাশি ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
হৃদরোগের আশঙ্কা কমায়: কাজু বাদামে রয়েছে অ্যান্টি-অ্যাক্সিডেন্ট, যেটি হার্টের রোগ এবং ক্যানসার আটকাতে সাহায্য করে। কাজু বাদামে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড যা, মানবদেহের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল পরিমান কমাতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
স্বাস্থ্যকর চুল: চুলের জন্যেও কাজু বাদাম অত্যন্ত উপকারি । কাজু বাদামে থাকা কপার শরীরের এমন কিছু এনজাইমের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়, যা চুলের রংকে ধরে রাখতে সাহায্য করে ।
পুষ্টিবিদরা বলেন, আখরোট ও কাজুবাদামে দুইই যথেষ্ট পুষ্টিকর, তবে কারণ জেনে বাদাম বাছাই করা উচিত।