মেক্সিকোয় পাওয়া গিয়েছে ভিনগ্রহের জীবের কঙ্কাল। সেই নিয়ে বেশ কয়েকমাস ধরেই তুঙ্গে উত্তেজনা। সে দেশের সংসদেও ওই কঙ্কালের আনুষ্ঠানিক প্রদর্শন হয়েছে। বিজ্ঞানীরা অবশ্য ওই কঙ্কাল কোনও ভিনগ্রহের জীবের বলে মানতে চাননি। অবশেষে আবার এক নয়া দাবি নিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে এল ভিনগ্রহের জীবের কঙ্কাল।
(আরও পড়ুন: বীভৎস কাণ্ড! স্যালাড খেতে গিয়ে কাটা আঙুল চেবালেন এই মহিলা, তার পরে…)
সম্প্রতি ওই কঙ্কালের ডিএনএ বিশ্লেষণ করে দেখা হয়েছে। তাতে পাওয়া গিয়েছে ৩০ শতাংশ অজানা জিনের হদিশ। এই অজানা অংশটির সঙ্গে আদতে কোনও জীবেরই মিল নেই। পৃথিবীতে যতরকমের প্রজাতি রয়েছে, তাদের সকলের জিনের একটি ডেটাবেস রয়েছে বিজ্ঞানীদের কাছে। কিন্তু কারওর ডিএনএ-এর সঙ্গে মিল পাওয়া যায়নি এই অংশটুকুর। এবার তাই নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে এই কঙ্কালের খবর।
সেপ্টেম্বর মাসের গোড়া থেকেই একের পর এক বিতর্ক উঠে আসছে এই কঙ্কাল নিয়ে। দাবির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বেশ কয়েক দফা পরীক্ষাও করেছেন বিজ্ঞানীরা। ডিএনএ-এর পরীক্ষাও আদতে তেমনই একটি পরীক্ষাই ছিল। সম্প্রতি ওই বিতর্কিত কঙ্কাল নিয়ে ল্যাবে বেশ কয়েক দফা পরীক্ষা চলে। ডিএনএ-এর প্রতিটা অংশই খুঁটিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করেন গবেষকরা। তার পরই দেখা গিয়েছে, চমকে দেওয়ার মতো তথ্য। দেখা গিয়েছে, ডিএনএ-এর ৩০ শতাংশ বিজ্ঞানীদের কাছে একেবারেই অজানা। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রজাতির ডিএনএ-এর বৈচিত্র্যের সঙ্গে বিজ্ঞানীরা পরিচিত। তার কোনওটার সঙ্গেই মিল নেই এই কঙ্কালের। এর ভিত্তিতেই মনে করা হচ্ছে, কঙ্কালটি সত্যিই পৃথিবীর কোনও প্রাণীর কঙ্কাল নয়।
(আরও পড়ুন: অন্য মেয়ের দিকে বারবার তাকায়, রেগেমেগে প্রেমিকের চোখটাই ‘গেলে’ দিলেন প্রেমিকা!)
বাকি ৭০ শতাংশ ডিএনএ-এর সঙ্গে কি তাহলে মিল রয়েছে কোনও প্রজাতির? এই ৭০ শতাংশ ডিএনএ কোন প্রাণীর, তা কি জানা গিয়েছে? নাহ্। এই ব্যাপারটি এখনও পর্যন্ত গোপন রেখেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রসঙ্গত, ইউএফও বিষয়ে বিশেষ আগ্রহ ও উদ্যোগের জন্য বেশ পরিচিত জেম মসান। তাঁর উদ্যোগেই এই দাবির সত্যতা যাচাই শুরু হয়েছে। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ নতুন প্রজাতির হদিশ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এরা সত্যিই এলিয়েন কি না এবার তা আরও খতিয়ে দেখার পালা। তবে তাঁর বিশ্বাস, এই কঙ্কাল এলিয়েনের হলেও হতে পারে। ভবিষ্যতেই এর উত্তর পাওয়া যাবে।