অনেকেই বাতের ব্যথায় ভোগেন। জন্মগত কারণে হাড়ের নানা সমস্যা দেখা দেখা অনেক সময়ে। সেই কারণে বাতের ব্যথা হতেই পারে। কিন্তু এর বাইরেও আছে কিছু অভ্যাসগত কারণ। এর ফলে যে কোনও বয়সেই বাতের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সম্প্রতি অর্থোপেডিক চিকিৎসক বীরেন নাদকার্নি হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, কিছু কিছু অভ্যাসের প্রতি আমাদের নিয়মিত নজর রাখা উচিত। এই অভ্যাসগুলোই অনেক সময়ে বাতের ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বাতের ব্যথার জন্য তিনি মূলত পাঁচটি অভ্যাসকে দায়ী করেছেন। দেখে নেওয়া যাক সেগুলো কী কী।
বেশি ওজন (overweight):
যাঁদের ওঝন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি, তাঁদের বাতের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কাও বেশি। কারণ শরীরের অতিরিক্ত ওজনের ভার গিয়ে পড়ে পিঠ, কোমর এবং পায়ের ওপর। ফলে সেই অংশগুলোতে বাতের ব্যথার প্রবণতা বাড়ে। যাঁরা বাতের ব্যথা এড়াতে চান, তাঁরা এই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। এমনই পরামর্শ চিকিৎসকের।
ভাজাভুজি, প্যাকেটের খাবার (processed foods):
ভাজাভুজি বা প্রসেসজ খাবারে বেশি মাত্রায় নুন, চিনি থাকে। এর সঙ্গে থাকে ময়দা এবং অতিরিক্ত তেল। এর সব ক’টাই ওজন বাড়িয়ে দেয়। ফলে হাড়ের সংযোগস্থলগুলোয় চাপ পড়ে। এই সমস্যা এড়াতে বাদাম, ফল বেশি করে খান।
অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার (holding phone for excessive time):
হালে অনেকেই কব্জি বা আঙুলের বাতের সমস্যায় ভোগেন। এর প্রধান কারণ স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার। দীর্ঘ ক্ষণ ধরে মেসেজ টাইপ করলে আঙুল এবং কব্জির বাতের সমস্যা বাড়তে পারে। শুধু তাই নয়, এর ফলে কাঁধে বাতের সমস্যাও হতে পারে।
হাই হিলের জুতো পরা (wearing high heels):
যাঁরা হাই হিল জুতো পরেন, তাঁদের osteoarthritis-এর আশঙ্কা বেড়ে যায়। কারণ এই ধরনের জুতো পরলে হাঁটার স্বাভাবিক ধরনটা বদলে যায়। তাতে কোমর, হাঁটুতে চাপ পড়ে। ফলে এই সব জায়গায় বাতের ব্যথা হতে পারে।
চোটআঘাত (injuries):
অল্প বয়সে হাঁটু বা হাড়ের অন্য কোনও সংযোগস্থলে চোট লাগলে পরবর্তী কালে তা বাতের ব্যথায় পরিণত হতে পারে। এ থেকে বাঁচতে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ছোটবেলার ব্যথা ফিরে আসছে দেখলেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়ম মেনে চলতে হবে। নাহলে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যথা আরও বাড়বে।