এ কীসের ছবি! কী ভয়ঙ্কর দেখতে!
এমনই প্রতিক্রিয়ায় ভরে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একটি ছবি দেখার পর থেকে বিস্তর ভয় পেয়েছেন অনেকে। অনেকে আবার ভেবেছেন, এটি বুঝি কোনও হরর ছবির দৃশ্য। কমপিউটারে বানানো কোনও অদ্ভুত দর্শন প্রাণীর মুখ।
কিন্তু বিষয়টি মোটেও তা নয়। এটি একটি প্রাণী। এমন একটি প্রাণী, যেটি আমার-আপনার— আমাদের সকলেরই ঘরেই প্রায় আছে। কি, শুনে চমকে গেলেন? তবে বিষয়টি কিন্তু একেবারেই ঠিক। এটি কীসের মুখ জানেন?
হালে লিথুয়ানিয়ার আলোকচিত্রী ইউজেনিজুস কাভালিয়ায়ুসকাস এই ছবিটি তুলেছেন। শুধু তাই নয়, এই ছবির জন্য তিনি নানাবিধ পুরস্কারও পেয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে নিকনের সেরা ছবির বিভাগের পুরস্কারও। চলতি বছরে ‘Nikon Small World Photomicrography Competition’-এ তাঁর এই ছবি সেরার পুরস্কার পেয়েছে।
কিন্তু ছবিটি কীসের? জানা গিয়েছে, ছবিটি তোলার পরে সেটিকে কমপিউটারের পর্দায় প্রায় ৫ গুণ বাড়ানো হয়েছে। তবেই পাওয়া গিয়েছে এই ছবিটি। আর তাতেই ধরা পড়েছে অতি পরিচিত একটি প্রাণীর মুখটি আসলে দেখতে কেমন, সেই চেহারা।
কীসের ছবি এটি? এটি একটি পিঁপড়ের ছবি। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। এটি একটি পিঁপড়ের মুখ। অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেননি, পিঁপড়েকে এমন দেখতে হতে পারে।
অেকেই এই ছবি দেখে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন। কেউ লিখেছেন, ‘ভাগ্য ভালো, পিঁপড়ের মাপ ওইটুকু। ওরা যদি কুকুরের মাপের হত, তা হলে কী হত কে জানে!’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘এত দিন পিঁপড়েদের খুব মিষ্টি একটা প্রাণী বলে ভাবতাম। পুরো ধারণাটাই বিগড়ে দিতে হল আপনাকে! এর পর থেকে তো আমি ওদের দেখে ভয় পাব।’ কেউ আবার বলেছেন, ‘অনেক কিছুকে ছোট করে দেখলে মিষ্টি লাগে। বড় করে দেখলেন, সেগুলি ভয়ঙ্কর হয়ে যায়।’
হালে নিকনের তরফে এমন মাইক্রোস্কোপিক ফটোগ্রাফির আয়োজন করা হয়েছিল। তাতেই এমন নানা ধরনের ছবি ধরা পড়েছে। কিন্তু এটি সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে।