ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ও অন্যান্য কর্মীদের কাবুল থেকে দেশে ফেরাতে মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভানের সঙ্গে কথা বলেছিলেন অজিত ডোভাল। পাশাপাশি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও গতকাল রাতে ফোনে কথা বলেছিলেন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিনকেন। আর ডোভাল-জয়শঙ্করের ফোনের ফলেই কাবুল থেকে ভারতে ফিরতে সমর্থ হন কাবুলের দূতাবাসে কর্মরত মোট ১৬৫ জন ভারতীয়। আফগানিস্তানে দীর্ঘ সময় ধরে আমেরিকার সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেছে ভারত। সেই সূত্র ধরেই কূটনৈতিক দর কষাকষির ফলে ভারতীয়দের ঘরে ফেরাতে সমর্থ হল নয়াদিল্লি।
কাবুলের যা পরিস্থিতি তাতে দূতাবাস থেকে বাকি কর্মীদের বের করে বিমানবন্দরে আনতে বেশ বেগ পেতে হয় ভারতকে। গতকাল রাতে ভারতে প্রথম দফায় ৪৫ জন দূতাবাস কর্মী দেশে পৌঁছান। তবে জানা গিয়েছে বিমানবন্দর যাওয়ার পথে কাবুলের রাস্তায় তাদের আটকেছিল তালিবান। পরে তাঁদের যেতে দেওয়া হয়।
এদিকে গতকালকের অরাজকতার পর বর্তমানে কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে মার্কিন নিরাপত্তা বাহিনী। তাই রাতেই মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভানের সঙ্গে কথা বলেন অজিত ডোভাল। এরপরই ভারতীয়দের বিমানবন্দরে ঢুকতে দেয় মার্কিন নিরাপত্তারক্ষীরা। এরপর আজ সকালেও ভারতীয়দের নিয়ে আরও একটি বিমান উড়ে আসে ভারতের উদ্দেশে। আধিকারিকদের নিয়ে কাবুল ছাড়তে সক্ষম হয় সি-১৭ বিমানটি। নিরাপদে আজ গুজরাতের মাটি ছুঁয়েছে বায়ুসেনার সেই বিমান।
গতকাল থেকেই কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জনস্রোত দেখা গিয়েছে। এর আগে রবিবারই কাবুলে ঢুকে পড়েছে তালিবান। সড়কপথে আফগানিস্তান ছাড়ার উপায় নেই। তাই হাজার হাজার মানুষের গন্তব্য ছিল বিমানবন্দর। পরে বন্ধ করে দেওয়া হয় বিমানবন্দর। বিমানবন্দর থেকে সবাইকে বের করা হয় রাতে। পরে ফের গভীর রাত থেকে সামরিক বিমান টেক অফ করা শুরু করে কাবুল থেকে।