রাজ্যে ক্রমেই চিড় ধরছে বিজেপির সংগঠনে। পায়ের তলায় জমি শক্ত হওয়ার আগেই দলীয় কোন্দলে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে দল। এই আবহে নতুন রাজ্য কমিটিকে দুষে বিদ্রোহী হয়েছেন বঙ্গ বিজেপির তাবড় নেতারা। মাঝে পিকনিক পলিটিক্সেও মেতেছিলেন রীতেশ তিওয়ারি, শান্তনু সেনরা। এবার রাজ্য কমিটি নিয়ে সংঘ প্রধান মোহন ভাগবতকেই নালিশ ঠুকলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা বর্তমানে দলের সর্বভারতী সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ।
জানা গিয়েছে মোহন ভগবতের সঙ্গে দেখা করে দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, রাজ্য কমিটিতে অভিজ্ঞ লোকের অভাব রয়েছে। আর তাই সংঘঠন এভাবে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে। দিলীপবাবু নাকি জানান, আন্দোলন গড়ে তোলা বা সংঘঠন সাজানোর কোনও অভিজ্ঞতাই বর্তমান কমিটির সদস্যদের নেই। এদিকে শুধু দিলীপ ঘোষ নন, রাজ্য কমিটি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারও দেখা করেন মোহন ভাগবতও। উল্লেখ্য, রাজ্যে আরএসএস-এর ৮০০ শাখাও বন্ধ হয়েছে বলে সম্প্রতি জানা গিয়েছে। কলকাতা সফরে এসে এই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে গিয়েছিলেন মোহন ভাগবত।
এদিকে বিজেপির বিক্ষোভের আগুনে জল ঢালতে জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারিকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তবে সম্প্রতি রীতেশ তিওয়ারিকে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাত করতে দেখা গিয়েছিল। এদিকে শান্তনু ঠাকুরও লকেটের সঙ্গে একান্ত আলোচনা সেরেছিলেন উত্তরাখণ্ডের প্রচারের মাঝে। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে দলীয় নেতা-কর্মীদের একাংশের ক্ষোভ একাধিক বার প্রকাশ্যে বেরিয়ে পড়েছে। এই আবহে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় যে সাফল্য বিজেপির ঝুলিতে এসেছিল, ২০২৪ সালে তা মিলবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এমনকি বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হয়ে ওঠা উত্তরবঙ্গেও দলকে হারতে হচ্ছে। পুরভোটে তো বহু জায়গায় প্রার্থীও দিতে পারেনি বিজেপি। এর প্রেক্ষিতে গেরুয়া শিবির সন্ত্রাসের অভিযোগ করলেও এর নেপথ্যে দলের দুর্বল সংগঠনও একটি বড় কারণ। এই আবহে এবার