এবার হিরো মোটোকর্পের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা। দিল্লি পুলিশ এনিয়ে কেস ফাইল করেছে বলে খবর। হিরো মোটোকর্প প্রতি মাসের ভুয়ো বিল করেছিল বলে অভিযোগ। সেই বিলের পরিমাণ প্রায় ৫.৯৪, ৫২,৫২৫ টাকা।
হিরো মোটো কর্পের মতো নামী সংস্থার বিরুদ্ধে এবার ভুয়ো বিল তৈরির অভিযোগ। ব্রেনস লজিস্টিক প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটা কোম্পানি এই অভিযোগ দায়ের করেছে বলে খবর। তারা হিরো মোটোকর্পের পাশাপাশি আরও তিনটি নাম উল্লেখ করেছে। খবর এনডিটিভি সূত্রে। সেখানে মুখ্য নিয়োগকারী পবন মুঞ্জল, অফিসার বিক্রম সীতারাম কাসবেকার, ও হরি প্রকাশ গুপ্তা। এছাড়াও একজন অডিটরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে এই অভিযোগ প্রসঙ্গে বিবৃতি জারি করেছে হিরো মোটো কর্প। তারা জানিয়েছে, এটা একটা পুরানো ব্যাপার। কোনও অফিসারের নাম এই এফআইআরে নেই।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে হিরো মোটোকর্প মুঞ্জল ও কেসবকরের সঙ্গে ভুয়ো মাসিক বিল তৈরি করেছে। সেটা প্রায় ৫.৯৪, ৫২. ৫২৫ টাকার। সেটা ২০০৯-২০১০ সালের ব্যাপার। ব্রেনস লজিস্টিক নিয়ে ভুয়ো খরচের ব্যালান্স করা হয়েছে।
এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে এই ফেক বিল দেখিয়ে তারা ৫৫,৫১,৭৭৭ টাকার ভুয়ো সার্ভিস খরচও দেখিয়েছিল বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে অভিযোগকারীর দাবি আয়কর দফতর ও লজিস্টিক কোম্পানির সঙ্গে প্রতারণা করছে হিরো মোটো কর্প। আর ২০০৯ ও ২০১০ সালে এই ধরনের কোনও বিল তৈরিই হয়নি।
তাদের অভিযোগ লোকজন নেওয়া ও সেই সংক্রান্ত পরিষেবার জন্য মোটো কর্পের সঙ্গে ওই সংস্থার চুক্তি হয়েছিল। এই চুক্তি ২০০৯ সালের ৩১ মার্চ ফুরিয়ে যায়। তারপর থেকে আর চুক্তি নবীকরণ করা হয়নি। ৫ অক্টোবর বসন্তকুঞ্জ নর্থ পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
তবে হিরো মোটো কর্পের দাবি এটা পুরানো ঘটনা। এটা ব্রেনস লজিস্টিক করেছে, প্রমোটার রূপ দর্শন পান্ডে। এফআইআরে কোনও অফিসারের নাম নেই। ২০১৩ সালে হিরো মোটোকর্প তাদের বিরুদ্ধেও এফআইআর করেছিল। সেই মামলা আদালতে চলছে।