কালার টেলিভিশন আমদানির উপর বিধিনিষেধ চাপাল কেন্দ্র। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, দেশের মধ্যে উৎপাদনে আরও জোর দিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে চিনের মতো দেশ থেকে অনাবশ্যকীয় সরঞ্জাম আনার ক্ষেত্রে যে অর্থ খরচ হত, তাও কাটছাঁট করার লক্ষ্য নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
আরও পড়ুন : Final Sem Exams Update: পরীক্ষা বাতিল করা অসম্ভব, সুপ্রিম কোর্টকে জানাল কমিশন
একটি বিজ্ঞপ্তিতে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) বলেছে, ‘কালার টেলিভিশনের মুক্ত আমদানি নীতি সংশোধন করে বিধিনিষেধ (ক্যাটেগরিতে) যোগ করা হল।’ অর্থাৎ এবার থেকে কালার টিভি আমদানিকারীদের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের অন্তর্গত ডিজিএফটির কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হবে।
আরও পড়ুন : LAC নিয়ে ভারত অবস্থানে অনড় থাকলে বিবাদ হতে পারে, হুঁশিয়ারি চিনের রাষ্ট্রদূতের
সেই বিধিনিষেধের তালিকায় আছে ৩৬ থেকে ১০৫ সেন্টিমিটার স্ক্রিন বিশিষ্ট টিভি সেট এবং ৬৩ সেন্টিমিটারের কম দৈর্ঘ্যের স্ক্রিন বিশিষ্ট লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে (এলসিডি) টিভি সেট।
আরও পড়ুন : ভারত রাফাল কেনায় ঘুম ছুটেছে পাকিস্তানের, কিছু করুন, আর্জি অন্যান্য দেশদের
মূলত চিন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তাইল্যান্ড এবং জার্মানি থেকে কালার টিভি আমদানি করে ভারত। গত অর্থবর্ষে ৭৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের কালার টিভি আমদানি করা হয়েছিল। শুধুমাত্র ভিয়েতনাম এবং চিন থেকে ভারতে আনা হয়েছিল যথাক্রমে ৪২৮ মিলিয়ন এবং ২৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের কালার টিভি।
আরও পড়ুন : ১৪০০ লিটার ভেজাল স্যানিটাইজার আটক করল কলকাতা পুলিশ
বিষয়টি নিয়ে প্যানাসনিক ভারতের প্রেসিডেন্ট এবং সিইও মণীশ শর্মা জানান, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের ফলে উচ্চমানের টিভি সেট পাবেন ভারতীয় গ্রাহকরা। তিনি বলেন, ‘দেশের মধ্যে যে টিভির বিভিন্ন সামগ্রী যুক্ত করা হয় (অ্যাসেম্বল), তার উপর অবশ্যই ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এই সিদ্ধান্ত। প্রথমসারির সংস্থাগুলির এমনিতেই দেশে উৎপাদন এবং অ্যাসেম্বলিং কারখানা রয়েছে। তাই এটা আমাদের উপর প্রভাব ফেলবে না।’ তাঁর মতে, নয়া সিদ্ধান্তের ফলে পদ্ধতিগত প্রভাব পড়বে।
আরও পড়ুন : দিল্লি, মুম্বই সহ ছয়টি শহর থেকে কলকাতায় বিমান আসবে না স্বাধীনতা দিবস অবধি